Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন জরুরি ছিল’

সারাবাংলা ডেস্ক
১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:২২

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। ছবি: পিএমও

বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে মন্তব্য করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাতের সময় গিনটিং এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

শাখাওয়াত মুন বলেন, শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর গিনটিং। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘এডিবি খুবই খুশি।’

এডিবি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে গিনটিং বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতেও আমরা একইসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে সবসময় প্রস্তুত।’ বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি খাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, তারা কক্সবাজারে জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে চান। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য জেলাগুলোতেও তাদের একই কাজ করার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশের জন্য এডিবির সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি আপনারা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।’ অগ্রাধিকারমূলক খাতে মূল্য সংযোজন প্রকল্প গ্রহণের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ক্রমাগত সহায়তা করার জন্য তিনি এডিবিকে ধন্যবাদ জানান।

বর্তমানে এডিবি বাংলাদেশের অর্থনীতির সাতটি প্রধান খাতে ৬১টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবহন, পানি ও শহুরে অবকাঠামো ও সেবা, জ্বালানি, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কৃষি ও খাদ্য, প্রাকৃতিক ও গ্রামীণ উন্নয়ন, অর্থ, সরকারি খাত ব্যবস্থাপনা ও শাসনব্যবস্থা।

শেখ হাসিনা এডিবিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জের চাহিদা পূরণে প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যেখানে লজিস্টিক অবকাঠামোর উন্নতি ও পরিষেবা সরবরাহকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি ও জলবায়ু জরুরি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এডিবির জলবায়ু অর্থায়নের একটি বড় অংশ পাবে বলে আশা করে।

শেখ হাসিনা ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১’-তে উদ্ভাসিত জাতীয় আকাঙ্ক্ষা ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’-এর সঙ্গে একইসাথে জলবায়ু ফলাফলকে সমর্থন করার জন্য উচ্চমানের জলবায়ু প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলোর একটি পাইপলাইন বিকাশে বাংলাদেশের জন্য তার অনুদান এবং রেয়াতমূলক জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে এডিবিকে অনুরোধ করেন। তিনি এডিবির সাম্প্রতিক ৪০০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের জন্যও ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেহেতু উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে, তাই এটা আকাঙ্ক্ষিত যে এডিবি এমন প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য বড় ধরনের সহযোগিতা দেবে, যা ডিজিটাল ব্যবধান কমিয়ে দেবে, বাণিজ্য প্রতিযোগিতা ত্বরান্বিত করবে, উন্নত ও কম কার্বন প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে, সবুজ শক্তি উৎপাদন করবে, জলবায়ু-সহনশীল কৃষির সম্প্রসারণ ঘটাবে, রফতানি বহুমুখীকরণ, স্মার্ট সিটি গড়ে তোলা এবং দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

তিনি বলেন, চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি ও বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাবগুলোর সার্বিক ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি আশা করেন, এডিবি তার পাইপলাইনে অতিরিক্ত কাউন্টারসাইক্লিক্যাল ও পলিসিভিত্তিক ঋণদান (পিবিএল) সহায়তা ব্যবস্থা রাখবে যেন বাংলাদেশ প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অবিলম্বে সেগুলো ব্যবহার করতে পারে।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

এডিবি এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর