কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ, বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ
১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৫৯
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাহিরে বের হচ্ছেন না। জেলার তাপমাত্র ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও খোল রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে তীব্র শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছে না। গতকাল বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হয়েছে। এ অবস্থায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, ‘আজ সেই কুয়াশা পড়ছে। চারিদিক ঢেকে গেছে, সেই সঙ্গে খুব ঠান্ডা। আমরা মতো বয়স্ক মানুষ আমাদের খুব সমস্যা। এমন আর কয়দিন থাকবে কে জানে।’
একই এলাকার হোটেল শ্রমিক শাহিন আলম বলেন, ‘কিছুদিন থেকে খুব ঠান্ডা পড়েছে, আমাদের কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আজ আরও ঠান্ডা বেশি, হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে। যতই শীত ও ঠান্ডা হোক না কেন কাজ করা লাগে আমাদের।’
এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মেম্বারদের সহযোগিতায় ৬৫ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় আরও কম্বল চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে থাকলে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আজ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শীত উপেক্ষা করে স্কুল-কলেজে যেতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালে বেড়েছে শীত জনিত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাবাংলা/জেআই/এনএস