Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্কুলছাত্র হাসমি হত্যায় মাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০০

ফাইল ছবি

ঢাকা: খুলনায় স্কুলছাত্র হাসমি হত্যার দায়ে তার মা সোনিয়া আক্তারসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হাফিজুর রহমান নামে অপর আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকা আসামিরা হলেন-শিশুটির মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী ও মো. রসুল। খালাস পেয়েছেন হাফিজুর রহমান।

আসামিদের আপিল ও মামলার ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এ রায় দেন।

আদালতে আসামি হাফিজুরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।

২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট এ মামলায় শিশু হাসমিকে হত্যার দায়ে মা সোনিয়া আক্তারসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলরুবা সুলতানা।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মানিকতলার সোনিয়ার সঙ্গে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। এরপর পারিবারিক কলহের জেরে হাসমির বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে।

কিন্তু হাসমি তার বাবার সঙ্গে থেকে যায়। হাসমি খুলনায় আড়ংঘাটা থানার সরদারডাঙ্গা শহিদ হাতেম আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। পরে হাসমিকে তার বাবার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য নুরুন্নবী ও রসুলের সঙ্গে সোনিয়া চুক্তি করে।

পরে ২০১৬ সালের ৬ জুন রাতে হাসমিকে অপহরণ করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসা হয়। এরপর সোনিয়াকে অপহরণকারীদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় হাসমি। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে অপহরণকারীরা সোনিয়ার সামনেই হাসমিকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মরদেহটি সিমেন্টের বস্তায় ভরে খুলনা বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদার ডাঙ্গা বিলে ফেলে দেওয়া হয়।

পরে ওই বছরের ৯ জুন খুলনার কার্ত্তিককুল এলাকা থেকে হাসমির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মো. নুরুন্নবী, হাফিজুর রহমান, মো. রসুলের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে মামলা করেন হাসমির বাবা মো. হাফিজুর রহমান।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর