Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফ্লোর প্রাইস থাকায় শেয়ারবাজারে লেনদেন ব্যাপক হারে কমেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩১

ঢাকা: ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দাম) বেঁধে দেওয়ায় গত দেড় বছরে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন ব্যাপক হারে কমে গেছে। এতে প্রায় ৮০ শতাংশ ব্রোকারেজ হাউজ তাদের পরিচালন ব্যয় তুলতে পারছে না।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর নিকুঞ্জের ডিএসই টাওয়ারে উভয় সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ডিবিএ’র পক্ষে প্রেসিডেন্ট ও ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক সাইফুল ইসলাম, সিনিয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইডএলসি সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইমিন্টে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উমর হায়দার খানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া, জেনারেল সেক্রেটারি আবু আলী, ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভী, সিএমজেএফ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তৌহিদুর রহমান মিন্টু, ভাইস প্রেসিডেন্ট বাবুল বর্মণ, জয়েন্ট সেক্রেটারি ইব্রাহিম হোসেন রেজওয়ান, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মাহফুজুল ইসলামসহ সংগঠনের সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ডিবিএ’র প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম) বেঁধে দেওয়ায় গত দেড় বছরে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন ব্যাপক হারে কমে গেছে। এতে প্রায় ৮০ শতাংশ ব্রোকারেজ হাউজ তাদের পরিচালন ব্যয় তুলতে পারছে না।

গত দেড় বছরে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। এখানে কোনো লেনদেন করা যাচ্ছে না, প্রায় ২০ মাস হতে চলল। ব্রোকারেজ হাউস ২৫০ এবং আরও ৭০টির মতো ট্রেকহোল্ডার আছে। সব মিলিয়ে ৩২০টির মতো কোম্পানি এখানে রান করছে। ৮০ শতাংশের মতো কোম্পানি তার অপারেটিং কস্ট (পরিচালন ব্যয়) তুলতে পারেছে না, আজকে প্রায় দেড় বছর। মার্কেটকে মার্কেটের মতো চলতে দিতে হবে।

ডিবিএ’র সাবেক সভাপতি ও গ্লোবাল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আমাদের যে তিনটি ব্রোকারেজ হাউজের কথা বলা হয়েছে, এই তিনটি হাউজের এই অবস্থার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ডিএসই’র দায় আছে। আমরা দেখতে পেরেছি শুরুতে হাউজগুলোর সমস্যা কিছু খুবই কম। ধীরে ধীরে সমস্যা বড় হয়েছে। অসহযোগিতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, শেয়ারবাজারের আইন-কানুনগুলো মার্কেট ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও মহাব্যবস্থাপক মাজেদা খাতুন বলেন, আমি বিএমবিএ’র নতুন সভাপতি হয়েছি। আশা করি নতুন বছরে আর্থিক খাতে ভালো হবে।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, আমরা চাচ্ছি একটা ভালো শেয়ার মার্কেট। শেয়ার মার্কেট ভালো হলে শিল্পায়নের সহযোগী হবে। মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। পুঁজিবাজারে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে।

ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোর ৬০-৭০ শতাংশ কর্মী চলে গেছে। বড় হাউজগুলো কোনো রকমে টিকে আছে। ছোট হাউজগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, বাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হলে বাজারের উন্নতি সম্ভব না।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক সহযোগিতায় আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি। সবাই মিলে দেশের শেয়ারবাজারের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করব। সবাই যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে শেয়ারবাজারের উন্নয়ন হবে বলে আশা করছি।

সভায় সিএমজেএফ’র সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভুঁইয়া বলেন, দেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়েছে পুঁজিবাজারের উন্নতি কিন্তু সেভাবে হয়নি। যখন দেশের অর্থনীতি ভালো ছিল তখন যেমন পুঁজিবাজার খারাপ ছিল বর্তমানে অর্থনীতি কিছুটা মন্দা, এখনও শেয়ারবাজার খারাপই রয়েছে।

সিএমজেএফ’র সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা যদি পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে দেখতে চাই। তাহলে বাজারে সব স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে একটি ইকো সিস্টেম তৈরি করতে হবে। তখন বাজারে ভালো প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত হবে।

সারাবাংলা/জিএস/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর