‘গাজায় যুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিন নয়’
১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩২
গাজায় যুদ্ধ শেষ হলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজের এই কথা জানান তিনি। তবে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যের বিরোধীতা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত’ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। একইসঙ্গে হামাসের ধ্বংস ও বাকি ইসরাইলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার জন্য অঙ্গীকার করেন। এক্ষেত্রে ‘আরও অনেক মাস’ লাগতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, জর্ডান নদীর পশ্চিমের সমস্ত ভূমির উপর নিরাপত্তা ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। যা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূখণ্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করবে। এটি একটি প্রয়োজনীয় শর্ত এবং এটি (ফিলিস্তিনের) সার্বভৌমত্বের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাহলে কী করতে হবে? আমি আমাদের আমেরিকান বন্ধুদের এই সত্যটা বলি এবং আমাদের উপর এমন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাও বন্ধ করে দেই, যা ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষতি করবে।’
মূলত নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেছেন। গত মাসে গর্ব করে বলেছিলেন, এর (স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠা রোধ করতে পেরে গর্বিত। তাই তার এই মন্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তবে এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে বর্তমান সামরিক অভিযান বজায় রাখার দৃঢ় সংকল্প করলেন তিনি। এতে করে পশ্চিম মিত্রদের সঙ্গে ইসরাইলের আরও দূরত্ব তৈরি করে।
নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তার সরকার দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে কাজ করা বন্ধ করবে না। একইসঙ্গে ‘গাজা পুনর্দখল করা হবে না’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে হোয়াইট হাউস বারবার ইসরাইলের সামরিক নীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে সর্বব্যাপী বিমান হামলার পরিবর্তে আরও নির্ভুল-নির্দেশক অস্ত্রের ব্যবহার, স্থল আক্রমণ নিরুৎসাহিত করা এবং গাজা-পরবর্তী সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকাসহ একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বান জানিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের এসব পরামর্শ প্রায়ই কানে তোলেনি বা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। অথবা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সফরের সময় তা প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস
ইসরাইল ফিলিস্তিন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র