‘টিআইবিকে গালি দিয়ে সরকারের বৈধতা তৈরি হবে না’
১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৭
ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ‘টিআইবিকে গালি দিয়ে সরকারের বৈধতা তৈরি হবে না। অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন জোরদার করে জনগণের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।’
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পুরানা পল্টনে মেহেরবা প্ল্যাজার সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এ সমাবেশ আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক বাবুল বিশ্বাস। সভা পরিচালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
বক্তারা বলেন, ‘যে সংবিধান মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, মানুষের নূন্যতম বাঁচার স্বাধীনতা নষ্ট করে, সেই সংবিধান এই দেশের সংবিধান না৷ এই সংবিধান শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার সংবিধান। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে যা ইচ্ছে তাই করা হচ্ছে সংবিধানের নামে।’
তারা বলেন, ‘মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা জনগণের সঙ্গে তামাশা করে বলছে- আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভেঙে দেবেন এবং মন্ত্রীরা সেটা না পারলে তাদের নাকি ডিম ও জুতো ছুঁড়ে মারা যাবে। আর ভোট না দেওয়ার শাস্তি হিসেবে এবং নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কারণে নাকি সরকার নিত্যপণ্যের দাম ইচ্ছে করেই বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন নাকি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক, বাংলাদেশের বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাকসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এজেড/এমও