শহিদ আসাদ দিবস আজ
২০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৪৫
ঢাকা: আজ ২০ জানুয়ারি শহিদ আসাদ দিবস। পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে ১৯৬৯ সালের এ দিনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে আওয়ামী লীগের ৬ দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে ওই সময়ের গুলি চালায় পুলিশ। সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং আহত হন আরও অনেক।
শহিদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে যোগ করে নতুন মাত্রা। বাঙালির স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে, যা পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহিদ আসাদ একটি অমর নাম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণআন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদের আত্মত্যাগ আন্দোলনকে বেগবান করে। জেল-জুলুম উপেক্ষা করে স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয় এবং গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। স্বৈরশাসক আইয়ুব ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন, পতন হয় স্বৈরশাসনের।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহিদ আসাদ এদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী, মুক্তিকামী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা যোগাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমি মনে করি, শহিদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না।’
সারাবাংলা/এনএস