Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণে সমীক্ষা চলছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১২:৪১

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এজন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। এদিকে আজ থেকে শুক্রবার ব্যতীত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেট্রোরেল উত্তরা-মতিঝিল রুটে পুরো সময় চলাচল করবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার ২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ( ডিএমটিসিএল) প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’র শুভ উদ্বোধন শেষে তিনি এ তথ্য জানান। উত্তরা দিয়াবাড়ি এমআরটি লাইন-৬’র অভ্যন্তরে প্রশাসনিক ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার থেকে শুক্রবার ব্যতীত উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল চলবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। উত্তরা থেকে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে প্রথম ট্রেন এবং মতিঝিল থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে উত্তরা থার্ড পেইজ থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের পরিকল্পনা আছে। এজন্য ফিজিবিলিটি স্টাডির (সম্ভাব্যতা সমীক্ষা) কাজ চলছে। এই মাসে পুরোদমে কাজটি শুরু করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশের নির্মাণ কাজ আগামী বছরে জুনে শেষ হবে। মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন চালু হবে।

মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের চলাচল শুরু হয় ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। আর গত ৫ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে যাত্রী চলাচল শুরু হয়। ৪ নভেম্বর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বর্তমানে ১৬ স্টেশনে থামছে মেট্রোরেল। স্টেশনগুলো হলো- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও মতিঝিল। এছাড়া কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে কমলাপুরও যাবে মেট্রোরেল।

উত্তরা থেকে মতিঝিল ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করা যাবে। মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।

মেট্রোরেল প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।

সারাবাংলা/এনআর/এনএস

মেট্রোরেল সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর