চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গ্যাস না পেয়ে সিএনজি স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল অটোরিকশা চালক। এসময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলেও পুলিশ এসে সরিয়ে দেয়।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার আটমার্সিং মোড়ে একটি সিএনজি স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্টেশনটির সামনে থেকে সিআরবি ও অপরপাশে টাইগারপাস সড়ক ধরে কয়েকশ অটোরিকশা গ্যাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। সকাল ১১টার দিকে চালকরা একযোগে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কয়েকজন স্টেশনের কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
বেশ কয়েকজন চালক স্লোগান দিতে দিতে স্টেশনের সামনে সিআরবি অভিমুখী সড়কে জড়ো হন। এতে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর পুলিশ গিয়ে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
সবুজ নামে বিক্ষুব্ধ এক অটোরিকশা চালক সারাবাংলাকে বলেন, ‘মালিক বলেছে, আজ গ্যাস পাব। সকাল ৬টায় স্টেশনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ৬টার আগে আধাঘণ্টা ধরে গ্যাস দিয়েছে। ৬টার পর থেকে আর দিচ্ছে না। এজন্য আমরা বিক্ষোভ করছি। একবার গ্যাস দেওয়া শুরু করে আবার বন্ধ করল কেন?’
জামাল চৌধুরী নামে আরেক চালক সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) সারাদিন গাড়ি চালাতে পারিনি। আজকেও পারছি না। আমাদের বৌ, ছেলে-মেয়ে আছে। দুইদিন ইনকাম বন্ধ। তাদের খাওয়াব কি, আর নিজে খাব কি? গ্যাস পাব ভেবে মালিকের কাছে থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। মালিকের খরচ কোত্থেকে দেব?’
সিএনজি স্টেশনটির এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাতে চাপ কিছুটা ছিল। তখন কিছু গাড়িতে গ্যাস দেওয়া গেছে। সকাল থেকে চাপ একেবারে কম, গ্যাস নেই বললেই চলে।’
কোতোয়ালী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য কয়েকজন চালক একটু বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। আমাদের মোবাইল টিম গিয়ে তাদের শান্ত করেন।’
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। গ্যাসের চাপ তৈরি হলে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে ওনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ২টা থেকে চট্টগ্রামে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে।