ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘শহিদ আসাদের আত্মদান মহান মুক্তিযুদ্ধের সূচিমুখ খুলে দিয়েছিল। তার রক্তমাখা শার্ট ছিল ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তির সংগ্রামের চালিকাশক্তি।’
শনিবার (২০ জানুয়ারি) শহিদ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদের ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘শহীদ আসাদ ও গণঅভ্যুত্থান’- শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ‘ষাটের দশকে ছাত্র-যুব তরুণদের মধ্যে যে চেতনা ছিল, এখন সেই তরুণরা সমাজ ভোগবাদী ও স্বার্থপরতার দ্বারা পরিচালিত হয়ে হচ্ছে। এটা করতে গিয়ে তারা যখন কিছুই পাচ্ছে না, তখন নিজেদের মাদকে নিমজ্জিত করে হতাশায় ডুবে পরিপূর্ণভাবে রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়ছে।’
নিজের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মেনন বলেন, ‘আমরা কি করতে পেরেছি বা পারি নাই, তার চেয়ে বড় কথা হলো— দেশের যুবকদের বড় অংশ এখন পর্যন্ত রাজনীতির প্রতি আগ্রহী। আমার নির্বাচনি অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, অসংখ তরুণ রাজনীতিতে এগিয়ে আসার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। যখন তারা কোনো জায়গা পাচ্ছে না, তখন তারা শাসকগোষ্ঠীর বৃত্তের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা যদি কাজ করি তাহলে অবশ্যই সেইসব কৃষক, যুবক, শ্রমিক যুবক, বেকার যুবক, কর্মজীবী যুবক, গরিব-মধ্যবিত্ত যুবক ও নারীদের আমাদের পক্ষে আনতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ আসাদ ছাত্র জীবন ত্যাগ করেই সরাসরি কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আদর্শকে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই লড়াইয়ে তা বিস্তার করতে পেরেছিলেন। এ কারণেই শহিদ আসাদ একেবারেই নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে পেরেছেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে কোন জায়গাটি ধরতে হবে এবং কোন জায়গাটি ট্যাগ করতে হবে তা শহিদ আসাদের জীবনাদর্শ থেকে নিতে হবে। আজকের দিনে তা বড়ই প্রয়োজন বলে মনে করি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নুর আহমদ বকুল, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড কিশোর রায়।