ধান-চাল মজুদের অপরাধে ১৬ মিল মালিককে জরিমানা
২০ জানুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩২
নওগাঁ: অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদের অপরাধে জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতিসহ ১৬ জন মিল মালিককে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনটি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলা উপজেলায় দিনব্যাপী মজুদবিরোধী অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
মিডিয়া সেল জানায়, ধান-চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মজুদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ধান-চাল মজুত রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিনটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।
এ ছাড়া তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে এক লাখ টাকা, মেসার্স এম এম অটো রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইচ মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে এক লাখ টাকা, মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক নাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে জরিমানা করা হয়।
মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় অবৈধ ধান মজুদের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে আরও তিন ধান ব্যাবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুদ করা এসব ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ-পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবে। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুদবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।
সারাবাংলা/পিটিএম