মন্ত্রণালয় বুঝতে আরও সময় লাগবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:১৯
ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটা মহাসাগরের মতো, পাঁচ দিনে সাঁতার কাটা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। আমি মূলত একজন সৈনিক। আমি সেনাবাহিনীতে ২৯ বছর চাকরি করেছি। বাকি সময় রাজনীতি করেছি, সাধারণ মানুষের কাছে থেকেছি। এখানকার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম। পরিকল্পনা কমিশনের কাজ বোঝা ও জানার জন্য আমাদের আরও সময় লাগবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে সদ্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের বিদায়ী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র এই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। সবকিছু বুঝতে কিছুটা সময় লাগবে। এই মুহূর্তে আমি পরিকল্পনা কমিশনের যে প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোর চাপায় পড়ে আছি। এখান থেকে বের হতে পারছি না এখনো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। কারণ আমি কাজের মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এম মান্নানকে আমি আগে থেকেই জানি। তার সঙ্গে আমার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তিনি যথাযথভাবে এখানে মেধার পরিচয় দিয়েছেন। তার যিনি সহকর্মী ছিলেন শামসুল আলম সাহেব, তাদের প্রচেষ্ঠায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অন্যন্য উচ্চতায় গেছে। এম এ মান্নান অত্যন্ত সফল সিভিল সার্ভেন্ট, সফল রাজনীতিবিদ।’
ড. শামসুল আলম প্রসঙ্গে আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমি যা দেখতে পাচ্ছি গত পাঁচ থেকে সাত উনারা অনেক প্রসংশনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই মন্ত্রণালয়ে তাদের মতামত সবসময় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তাদের বিদায় দিচ্ছি না, আমরা তাদের আবারও ফিরে আসার সুযোগ করে দিচ্ছি। আমরা চাইব তারা আমাদের কাজে নানাভাবে সহায়তা করেন।’
নতুন পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা অত্যন্ত মেধাবী ও বিচক্ষণ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এই কাজে আমাদের সবাইকে স্মার্টভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
সদ্য সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয়ে ১০ বছর সময় পার করেছি। সচিবালয়ের মতো পরিকল্পনা কমিশনের চত্বরের পরিবেশ নয়। এখানকার পরিবেশ অনেক মনোরম, অনেক গাছপালা আছে। সেই কারণে এখানকার আমলারা অন্যান্য চত্বরের আমলাদের মতো নয়।’
ড. শামসুল আলম বলেন, ‘সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। কাজের বিকল্প কিছু নেই। আমি সারাজীবন সেই চিন্তার প্রতিফলন ঘটিয়েছি। ফলে আমার আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।’
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য একেএম ফজলুল হক, আব্দুল বাকী এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাউসার আহাম্মদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম