ঘরের মাঠে আলমেরিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পরেও দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নাটকীয়তায় ভরপুর এই ম্যাচে রেফারির বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি আলমেরিয়া। ম্যাচ শেষে তাই ভিএআরের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝেড়েছেন আলমেরিয়ার কোচ গাইজাকা গ্যারিতানো ও দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার। মিডফিল্ডার গঞ্জালো মেলেরো তো বলেই ফেলেছেন, ডাকাতি করেই তাদের হারানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও রিয়ালের জয়
প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে দারুণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আলমেরিয়া। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ৫৭ মিনিটে কাইকি ফার্নান্দেজের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় রিয়াল, পেনাল্টি থেকে গোল করেন বেলিংহাম। আলমেরিয়ার অভিযোগ ছিল, হ্যান্ডবলের আগেই ফাউলের শিকার হয়েছিলেন কাইকি। এরপর আলমেরিয়ার সার্জিও আরিবাসের গোল ভিএআরে বাতিল করেন রেফারি।
৬৭ মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে প্রথমে হ্যান্ডবলের জন্য গোল বাতিল করলেও শেষ পর্যন্ত ভিএআরের কল্যাণে গোল পায় রিয়াল। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর ১১ মিনিট অতিরিক্ত সময় খেলা চালিয়েছেন রেফারি মায়েসো। এর ৯ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোল করেন কার্ভাহাল। এত সময় খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়েও রেফারির সাথে বেশ তর্কে জড়িয়েছেন আলমেরিয়া ফুটবলাররা।
ম্যাচ শেষে আলমেরিয়া কোচ গ্যারিতানো বলছেন, ভিএআরের সব সিদ্ধান্ত রিয়ালের পক্ষেই গিয়েছে, ‘নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। এই ম্যাচে তেমনটা হয়নি। মাদ্রিদের পেনাল্টিতে পরিস্কারভাবেই ফাউল হয়েছিল। দ্বিতীয় গোলটা হ্যান্ডবল ছিল। সব সিদ্ধান্তই তাদের পক্ষে গিয়েছে।’
আলমেরিয়া ডিফেন্ডার মার্ক পুবিলও নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন, ‘কেউ আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল আমরা জিতব না, আর সেটাই হয়েছে।’ মিডফিল্ডার মেলেরো বলছেন, ডাকাতির শিকার হয়েছেন তারা, ‘মনে হচ্ছে ডাকাতির শিকার হয়েছি। রিয়ালের ম্যাচে ফেরার জন্য যা করা দরকার তারা সেটাই করেছে। এই মৌসুমে আমাদের সাথে এরকম ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। অভিযোগ না করলে কেউ আপনাকে সাহায্য করবে না। আমরা এতদিন কিছুই বলিনি। কিন্তু আজকে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটা অবিশ্বাস্য ছিল।’