এসআই পরিচয়ে ৯ বিয়ে, অবশেষে গ্রেফতার
২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৯
বগুড়া: পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে নিজ জেলা পাবনায় বিয়ে করেছেন পাঁচটি। বগুড়ার মোকামতলায় আরও চারটি বিয়ে করেছেন তিনি। এসব বিয়ের সম্পর্ক থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। পুলিশ পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েও প্রতারণা করেছেন অনেকের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সেই ভুয়া এসআই নাজমুল হক (৩০) আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে।
বগুড়ার শিবগঞ্জের ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে বাড়িওয়ালার সন্দেহের মুখে পড়েন তিনি। পরে সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে মোকামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের এসআই পরিচয় দেওয়া নাজমুল হকের বাড়ি পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে নাজমুলকে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিতে যান নাজমুল হক। নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয় দেন তিনি। মঞ্জু শেখের সন্দেহ হলে বাসা ফাঁকা নেই বলে জানিয়ে দেন। নাজমুল সেখান থেকে যাওয়ার আগে মঞ্জু শেখের মোবাইল নম্বর নিয়ে নেন।
পুলিশ আরও জানায়, পরে বিকেলে ফোন করে মঞ্জু শেখের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার চান নাজমুল। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। তিনি মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে ঘটনাটি জানান। পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, নাজমুল হক আদতে পুলিশ বাহিনীর কেউ নন। তিনি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোকামতলা এলাকায় চারটি বিয়ে করেছেন। প্রতিবারই বিয়ের পর কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে যান। এ ছাড়াও পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন জনের কাছে তদবিরের নামে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি। পরে সোমবার রাতে কৌশলে পুলিশ তাকে আটক করে।
মোকামতলা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল বলেন, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পরা একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। এসব ছবি দেখিয়ে তিনি প্রতারণা করতেন। ভয়-ভীতিও দেখাতেন।
আশিক ইকবাল আরও বলেন, অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হক পুলিশের এসআই পরিচয়ে তার এলাকাতেও (পাবনার সাঁথিয়া) আরও পাঁচটি বিয়ে করেছেন। তাকে আটকের পর ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/টিআর