Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০ কোটি টাকা নিয়ে গায়েব ডাচ-বাংলার এজেন্ট, কর্মকর্তার আত্মহত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৮

বাম থেকে আব্দুল কাইয়ুম ও শহিদুল ইসলাম লিটন

নরসিংদী: জেলার রায়পুরা উপজেলায় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের প্রায় ১০ কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে শহিদুল ইসলাম লিটন। গত রোববার থেকে বন্ধ রয়েছে উপজেলার আলগী বাজারে শহিদুলের সততা এন্টারপ্রাইজ নামে এই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যালয়টি। এরপর থেকেই স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার পর বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাংকটির সেলস ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম।

বিজ্ঞাপন

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুমের মৃত্যু হলে বিকেলে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এর আগে, গত শুক্রবার রাতে বিষ পান করে গুরুত্বর অসুস্থ হন তিনি। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এজেন্ট পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টেটিভ তৌহিদুর রহমান চাপ সৃষ্টি করার কারণেই আব্দুল কাইয়ূম বিষ পাণ করেছিলেন।

মৃত আব্দুল কাইয়ুম উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রামনগর মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের রায়পুরার ৩০টি আউটলেট (এজেন্ট শাখা) তার অধীনে ছিল। অন্যদিকে পলাতক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আলগী বাজার শাখার উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম লিটনের বাড়ি উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মীর মাহবুব আলম।

মৃতের স্বজনরা জানান, সম্প্রতি শহিদুল ইসলাম লিটন ডাচ-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। এরপর থেকেই কাইয়ুমের ওপর মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেন ব্যাংকটির নরসিংদী শাখার রিজিওনাল ম্যানেজার (আরএম) রেদোয়ান মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। একপর্যায়ে রেদোয়ান ‘গ্রাহকদের সকল টাকা পরিশোধ করব’ মর্মে কাইয়ুমের কাছ থেকে জোরপূর্বক একটি স্ট্যাম্পে সই নেন।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংককে বিশ্বস্ত মনে করে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে তারা টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন। তাদের শাখা থেকে জমা রশিদও দেওয়া হয়েছিল। সব টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন শহিদুল ইসলাম লিটন। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার দাবি তাদের।

বিজ্ঞাপন

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আফসান-আল-আলম বলেন, এ বিষয়ে গ্রাহক বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেউই লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। টাকার পরিমানসহ কোনো বিষয়ই এখনো পরিষ্কার নয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সারাবাংলা/এসএম/এনএস

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং নরসিংদী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর