রাইট শেয়ার ইস্যু করবে বার্জার পেইন্টস
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০১
ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বার্জার পেইন্টস (বাংলাদেশ) লিমিটেড রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। দুটি পদ্ধতিতে এই রাইট শেয়ার বন্টন করা হবে। তাতে কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাবেন।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সাধারণভাবে প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডারের জন্য কোম্পানিটি ১:১৭ হিসেবে রাইট শেয়ার দেবে। অর্থাৎ প্রতি ১৭টি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এক লাখ ৩৬ হাজার ৪২০টি শেয়ার ইস্যু করা হবে। অন্যদিকে কোম্পানির প্রধান শেয়ারহোল্ডার জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড পাবে ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৯১টি শেয়ার।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতি শেয়ারে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা প্রিমিয়াম নেবে। প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি রাইট শেয়ারের দাম পড়বে ১ হাজার ৩৭৬ টাকা।
জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড যে রাইট শেয়ার পাবে, তা কোম্পানিটি বার্জার পেইন্টস (বাংলাদেশ) এর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপরীতে হস্তান্তর (Renounce) করে দেবে। তারা ১৬:১৭ হিসেবে এই শেয়ার পাবেন। এতে কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৭১ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২১ লাখ ৮২ হাজার ৭২০টি শেয়ার পাবেন।
সব মিলিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১:১৭ ও ১৬: ১৭ হিসেবে অর্থাৎ ১:১ অনুপাতে শেয়ার পাবেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে রাইট শেয়ার ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুসারে বাজারে ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে জেঅ্যান্ডএন ইনভেস্টমেন্ট (এশিয়া) লিমিটেড তাদের সব রাইট শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে হস্তান্তর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২০২১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিএসইসি বার্জারসহ কয়েকটি কোম্পানিকে ফ্লোটিং শেয়ারের হার বাড়িয়ে ন্যুনতম ১০ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। রাইট শেয়ার ইস্যু করার বার্জারের ফ্লোটিং শেয়ারের হার হবে ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ।
রাইট ইস্যুর প্রক্রিয়ায় বার্জার পেইন্টস ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি শেয়ার ইস্যু করবে। আর এর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে।
রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ দিয়ে কোম্পানির তৃতীয় কারখানা স্থাপনের ব্যয়ের একাংশ মেটানো হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প পার্কে আলোচিত কারখানা স্থাপিত হবে। এর আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১৩ কোটি টাকা। আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিল নাগাদ এ কারখানা বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে কোম্পানি আশা করছে।
রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেওয়ার লক্ষ্যে কোম্পানিটি আগামী ১০ মার্চ বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
অন্যদিকে রাইটের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ফলে কোম্পানির কস্ট অব ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের খরচ কমে আসবে। এটিও মুনাফা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। আর তৃতীয় কারখানা উৎপাদনে এলে কোম্পানির রাজস্ব ও মুনাফা-দুটিতেই ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সারাবাংলা/জিএস/ইআ