চেক জালিয়াতির মামলায় আলেশা মার্ট চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর কারাদণ্ড
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৭
ঢাকা: চেক জালিয়াতির মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাবিয়া চৌধুরীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিদের ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তসরুজ্জামান এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, নুরুজ্জামান রিপন নামের একজন ক্রেতা আলেশা মার্ট লিমিটেড থেকে মূল্য ছাড়ে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২০২১ সালের ৮ জুন অর্ডার করেন। অর্ডারের বিপরীতে ২ লাখ ৫০ হাজার ৩১০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। টাকা পরিশোধের পর নির্ধারিত সময় ৪৫ দিন পার হলেও তিনি মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। এরপর বারবার মোটরসাইকেল হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়ে বাদীকে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করে আলেশা মার্ট।
পরবর্তী সময়ে বাদী ২০২২ সালের ২০ মার্চ ঢাকার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিস্ট্রিক কাউন্সিল হল শাখায় চেক নগদায়নের জন্য জমা দিলে সেটি ডিজঅনার দেখানো হয়। এরপর ভুক্তভোগী ব্যক্তি একাধিকবার টাকার বিষয়ে আলেশা মার্টের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা টাকা না দিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকে।
এরপর ২০২২ সালের ২৪ মার্চ টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ওই নোটিশের নোটিশের জবাব না পেয়ে ২০২২ সালের ১৯ মে তিনি বাদী হয়ে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর আজ আদালত আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও এমডিকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড করেন।
২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। এরপর ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেয়। আর ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে