Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিগগিরই চীনে ইনভেস্টমেন্ট সামিট: বিসিসিসিআই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৬

ঢাকা : বাংলাদেশে সম্ভব্য বিনিয়োগের সেক্টরগুলো নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিসিআই) আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে দেশের পুঁজিবাজারে যেন চীনের বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যায়, সে বিষয়টা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আশা করছি বিডার সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই চায়নাতে একটি ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করা হবে। চীনের বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এখন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিসিআই’র সাধারণ সম্পাদক ও মৃধা বিজনেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল মামুন মৃধা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নবনির্বচিত কমিটি সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি বাবুল বর্মণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন রেজওয়ান, কার্যনির্বাহী সদস্য হামিদ সরকার, এস এম নুরুজ্জামান তানিম, জুনায়েদ শিশির ও তৌহিদুল ইসলাম রানা উপস্থিত ছিলেন।

আল মামুন মৃধা বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজার অনেক বেশি শক্তিশালী। সে তুলনায় আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত সে পর্যায়ে পৌঁছাতে পানেনি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারের সঙ্গে তাদের সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সম্পৃক্ত। যেটি আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে অনেক কম। দুইবার বড় ধসের কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আগ্রহ কমে গেছে। এরপরেও পুঁজিবাজার গতিশীল হয়ে উঠছিল। কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুক্তসহ নানা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমাদের পুঁজিবাজারে নেতিবচক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদরের সর্বনিম্ন সীমা) বহাল রাখার কারণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেকটা কমেছে। তবে আমরা আশা করছি, নির্বাচন পরবর্তী পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে বিভিন্ন সেক্টরের কোম্পানি রয়েছে। ওই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চীনের ব্যবসা রয়েছে। তাই যেসব কোম্পানির সঙ্গে চীনের ব্যবসা রয়েছে তাদেরকে আমরা একটি ছাতার নিচে আনতে চাই। এতে চীনের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর সেক্টরভিত্তিক আলোচনা করতে সহজ হবে। এ কাজে সহযোগিতা করতে সিএমজেএফ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সিএমজেএফের সঙ্গে বাংলাদেশ চীনের চেম্বার কাজ করতে আগ্রহী।’

বিজ্ঞাপন

মৃধা বিজনেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সংখ্যা খুব একটি বেশি নয়। তাই আমরা দুইপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াতে চাই। আমরা চাই বেশি বেশি কোম্পানি এখানে থাকুক। আগামীতে যেসব কোম্পানির সঙ্গে চীনের ব্যবসা বেশি তাদেরকে বাংলাদেশ চীনের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজর বোর্ডে অ্যাসোসিয়েট মেম্বার হিসেবে রাখার চেষ্টা করব। সেখানে তাদের ভোট প্রদান করার ক্ষমতা না থাকলেও তাদের সুবিধা-অসুবিধা তুলতে ধরতে পারবে। আমরা তাদের দাবিগুলো চীনের কাছে তুলে ধরতে সহায়তা করব।’

বিসিসিসিআই’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ না আসার মূল কারণ সমন্বয়হীনতা। এটি যতদিন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না হবে, ততদিন কোনো সেক্টরেই বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাংলাদেশে সাড়ে পাঁচশোর বেশি চাইনিজ কোম্পনি কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ডাইভার্সিফাই সেক্টরে কাজ করছে। বাংলাদেশে চাইনিজদের যত রকমের ইনভলভমেন্ট দেখছেন তাদের অধিকাংশই বিসিসিসিআই এর সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ। এই সুযোগটা যদি বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে এটি আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক ব্যপার। বাংলাদেশ যে বিনিয়োগের জন্য একটা উর্বর ক্ষেত্র, সেটা প্রোমট করার জন্য কোনো সেক্টর থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ কথাটাই আমরা প্রোমট করা চেষ্টা করছি।

মতবিনিময়কালে সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া বলেন, ‘কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চুক্তি রয়েছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে ডিএসইর ২৫ শতাংশ মালিকানা চীনা কনসোর্টিয়ামের হাতে। সে কারণে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল চীনা কনসোর্টিয়ামের সম্পৃক্ততায় ডিএসই কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে এগিয়ে যাবে এবং বিদেশি বিনিয়েগ আসবে। কিন্তু তা দেখা যায়নি। তাই পুঁজিবাজারসহ দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিএমজেএফ ও বাংলাদেশ চায়না চেম্বার একসঙ্গে কাজ করবে।’

সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী চীনের দুইটি স্টক এক্সচেঞ্জ। সে জন্য চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টক মার্কেট সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই চীনের সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারীর হাত ধরে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। কিন্তু আমরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলাম সেটির প্রতিফলন ঘটেনি।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

চায়না চেম্বার বিনিয়োগ বিসিসিআই

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর