Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছুটির দিনে ভিসতায় উপচেপড়া ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৪

ঢাকা: চলছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। গত ২১ জানুয়ারি (রোববার) রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর আজ শুক্রবার প্রথম ছুটির দিন। মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়।

এরমধ্যে দেশীয় অ্যারিস্টক্র্যাট ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ভিসতার প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, আজ ছুটির দিন। এদিকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে বাণিজ্যমেলা। তাই তারা মেলায় এসেছেন। এসে কিনছেন পছন্দের পণ্যটি। কেউ কেউ বলছেন, মেলা মাত্র শুরু হয়েছে, আরও কিছু দিন যাক। এরপর দেখেশুনে তারা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনবেন।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নের বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, প্রতিবছরই মেলা উপলক্ষে সব ধরনের পণ্যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। ফলে স্টল-প্যাভিলিয়নে ছুটে আসেন গ্রাহকরা।

প্রতিবার মেলায় বেচা-বিক্রি বাড়ানোর জন্য বিক্রেতারা নানা অফার দিয়ে থাকেন। কোনো কোনো বিক্রেতা একটি পণ্যের সঙ্গে একটি পণ্য ফ্রি দিচ্ছেন। অনেকে তাদের পণ্য প্যাকেজ (১টির সঙ্গে ৫/১০ গিফট) আকারে বিক্রি করছেন। আবার কেউ কেউ পণ্যের মূল্যের ওপর সরাসরি ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছেন।

এদিকে, ভিসতার স্টলে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। বিক্রিও জমে উঠেছে। ভিসতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ বলেন, ‘মেলা শুরুর দিকে একটু ক্রেতা কম হয়েছে। সেটা বিভিন্ন কারণে। মাসের শেষ, বেশি শীত ছিল। এখন শীতটা কমেছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন। প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন। আমাদের বিক্রিও ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এখন চাঙ্গা হওয়ার পথে। ধারাবাহিক উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। বাণিজ্যমেলা আরও জমবে। মেলা উদ্বোধনের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসতা প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন। তিনি ঘুরে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন। প্রতিদিনই বিশিষ্টজনেরা আসছেন। দর্শনার্থীরা যেমন এসে ভিসতা প্যাভিলিয়ন দেখছেন, তেমনি কেনাকাটাও করছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে।

সারাবাংলা/একে

উপচেপড়া ভিড়া ছুটির দিন বাণিজ্যমেলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর