Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীতে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৭

ঢাকা: টানা তিন মাস ‘আত্মগোপনে’ থাকার পরে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীতে ‘কালো পতাকা’ হাতে মিছিল করেছে বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী।

বিকেল সাড়ে ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইল নাইটেঙ্গল রেস্টুরেন্ট মোড় দিয়ে ফকিরাপুল, আরামবাগ মোড় ঘুরে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাথায় কালো টুপি পরে, হাতে কালো পতাকা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন। তারা সমস্বরে ‘অবৈধ সরকার, মানি না, মানব না’, ‘দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন।

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দ্বাদশ সংসদ বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই দেশ আমাদের, এই দেশের সমস্যা আমাদের, এই দেশের সমস্যা সমাধান আমরাই করব। হাসিনার সরকার ভারত, চীন আর রাশিয়া সরকার। এটা বাংলাদেশের জনগণের সরকার না।’


গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আবারও বলছি, হাসিনা বাংলাদেশের জনগনের সরকার না। সে জন্য এই সরকার আমরা মানতে বাধ্য নই। আজকে আমাদের এই লড়াই শুধু ভোটের লড়াই নয়, আমাদের ভাগ্যের লড়াই, আমাদের গণতন্ত্রের লড়াই, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই।’

সীমান্তে একজন বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমাদের সীমান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে, কয়েক দিন আগে আমাদের বিজিবি সদস্য মারা গেছে। কোনো প্রতিবাদ নাই কেন? কী কারণে কোন অধিকারে তারা আমার দেশে সীমান্ত রক্ষীর ওপর গুলি করবে? কথায় কথায় ধরে নিয়ে যায় আমাদের সাধারণ মানুষকে। আর আমার সীমান্ত রক্ষীরা খালি হাতে বা রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের গুলি করার অধিকার নাই। সুতরাং আজকে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্নের পথে। কারণ আমাদের দেশের মৌলিক সিদ্ধান্ত যখন বিদেশীরা দেয় তখন আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করি কী করে?’

বিজ্ঞাপন

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজাতে আমরা আজকে কালো পতাকা নিয়ে রাজপথে সমবেত হয়েছি। সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে এই কালো পতাকা মিছিল স্বীকৃত রয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই, এই সরকার কালো পতাকার কালো আধারে নিশ্চিহ্ন হয়ে, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে থাকব। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আমাদের চলতেই থাকবে।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অনেকে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সেলিম ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, এম এ মালেক, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, সেলিম রেজা হাবিব, রাশেদা বেগম হীরা, বিলকিস ইসলাম, হারুনুর রশীদ, রওনকুল ইসলাম শ্রাবণসহ অনেকে।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

কালো পতাকা কালো পতাকা মিছিল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর