‘প্রণোদনা কমায় রফতানিতে বিপর্যয় আসবে’
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৭
ঢাকা: পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে তা দেশের রফতানিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছে দেশের পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এ তথ্য জানায়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক গত ৩০ জানুয়ারি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রফতানির বিপরীতে রফতানি প্রণোদনা/ নগদ সহায়তা বিষয়ক একটি সার্কুলার জারি করেছে। যার মাধ্যমে প্রচলিত নগদ সহায়তার হার ও কাঠামোতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তন শিল্পের জন্য মোটেও সহায়ক ও সময়োপযোগী নয়। বরং এটি শিল্পের জন্য ঝুঁকি ও বিপর্যয় ডেকে আনবে।
সেখানে আরও বলা হয়, সার্কুলারে ৫টি প্রধান রফতানি পণ্যের উপর নগদ সহায়তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো— টি শার্ট, সুয়েটার, নিটেড শার্ট, পুরুষদের আন্ডার গার্মেন্ট, এবং ওভেন ট্রাউজার ও জ্যাকেট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই ৫টি পণ্যেরর রফতানি মূল্য ছিল ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা আমাদের মোট পোশাক রফতানির ৫৫ দশমকি ২২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনা ছাড়া বাকি সব প্রনোদনার হার ২৫-৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। লক্ষণীয় যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রণোদনার হার কমানো হয়নি। তবে অধিকাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানার উৎপাদন ও রফতানি কিছু বেসিক পণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, বিশেষকরে টি-শার্ট, ট্রাউজার ও সুয়েটার। এই পণ্যগুলো সামগ্রিক প্রনোদনা ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়ায় মূলত এসব পণ্য রফতানিকারী ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো কোনো প্রনোদনাই পাবে না। আমাদের মোট পোশাক রফতানিকারী প্রতিষ্ঠিানের মধ্যে ৬০ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শ্রেণির।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস