আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু বিশ্ব ইজতেমা, লাখো মুসল্লির ঢল
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৮
গাজীপুর: জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা’র আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বয়ানটি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় তরজমা করছেন মাওলানা নুরুর রহমান।
জানা গেছে, মাওলানা আহমদ বাটলা’র বয়ানের পর সকাল ১০টায় তালিম করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। তার তালিমের পরপরই শুরু হবে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের প্রস্তুতি। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা যোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের মাওলানা ওমর খতিব, আছরের নামাজের পর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা যোবায়ের ও মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন।
শীত ও বৃষ্টি উপেক্ষা দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে বিশ্ব ইজতেমার পুরো ময়দান। মুসল্লির চাপ বেশি হওয়ায় অনেকে ভিতরে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে অথবা খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হবে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।
ইজতেমার প্রথম পর্বে এখন পর্যন্ত তিনজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুইজন ও বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) একজন মুসল্লির মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন- ইউনুছ মিয়া (৬০), তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরাইল থানার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউরা গ্রামের মৃত বুদু মিয়ার ছেলে; জামাল উদ্দিন (৪০), তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা চৌহদ্দীগ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং আব্দুস সাত্তার (৭০), তিনি শেরপুর জেলার কেন্দুয়া থানার আবুল হোসেনের ছেলে। তারা তিনজনই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পরপরই বৃষ্টিতে ভোগান্তি পড়েন ইজতেমার ময়দানে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মুসল্লি। মাঠের বিভিন্ন স্থান কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। ফলে মুসল্লিদের চলাচলে প্রচুর সমস্যা হয়।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে নিরাপত্তায় র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/টিকে/এনএস