শিশুদের কলকাকলিতে মুখর বইমেলার শিশুপ্রহর
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৪
ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন আজ। ছুটির দিনগুলোতে শিশুদের নিয়ে থাকে বিশেষ আয়োজন ‘শিশু প্রহর’। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’র প্রথম ছুটির দিন সকালে শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গন।
এদিন সকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সিসিমপুরের কর্তাব্যক্তিরা ‘শিশু প্রহর’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সকাল ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার শিশুপ্রহর।
শিশুরা সেজেগুজে বাবা-মা বা অভিভাবকদের সঙ্গে সকাল সকাল মেলা প্রাঙ্গণে চলে আসে। অনেকেই তাদের প্রিয় কার্টুন চরিত্রের মতো সেজে আসে। বাবা-মায়ের হাত ধরে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে স্টল থেকে স্টল, আবার কেউ কিনছে বই। তবে সবেচেয়ে ভিড় ছিল শিশুচত্বর ঘিরে।
শিশু প্রহরে যেখানে থাকে শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠান সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোর পরিবেশনা। মেলায় ঘুরে বেড়ানো আর বই কেনার পাশাপাশি শিশু চত্বরের সিসিমপুর মেলায় আসা শিশুদের বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে।
মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ছোটদের মজার মজার সব বইয়ের স্টল বসেছে। বইয়ের দোকানের নামগুলোও শিশুদের পছন্দের উপযোগী। তাকদুম, পরীর রাজ্য, ছোটদের মেলা, ঠাকুমার ঝুলি ইত্যাদি মজার সব নাম। এখানে রয়েছে রঙিন সব বই। ছবির বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে শিশু-কিশোরদের সায়েন্স ফিকশন, কমিকস, ভূতের গল্প, কৌতুক এবং ছড়াসহ নানা ধরণের বই।
শিশুপ্রহরে শিশু-কিশোরদের বাড়তি আনন্দ দিতে রয়েছে সিসিমপুর স্টল। যেখানে বাচ্চাদের জন্য আকর্ষণীয় সব মজার মজার বই সাজানো রয়েছে।
বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে।
সারাবাংলা/আরএফ/এনইউ