Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতিবন্ধী মোকলেছারের চাকরিসংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৯

ঢাকা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে নন-মিলজোন আখচাষ জোরদারকরণ প্রকল্পে কাজ করা নওগাঁর প্রতিবন্ধী মো. মোকলেছার রহমানের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

বিজ্ঞাপন

পরে আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া জানান, ২০০৫ সালের ২৩ জুন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মিল জোন ইক্ষুচাষ জোরদারকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এমএইচএটি প্ল্যান্ট অপারেটর পদে নিয়োগ পান নওগাঁর সদর উপজেলার মো. মোকলেছার রহমান। তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তাকে একই বছরের ২৬ জুন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসে পোস্টিং দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রকল্প সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে চাকরিতে ছিলেন।

মনিরুল ইসলাম মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ২০০৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নন-মিল জোন ইক্ষুচাষ জোরদারকরণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মরত ৩৪ জনের মধ্যে ৩২ জনের চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত করে আত্তীকরণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। প্রতিবন্ধী মোকলেছার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তার চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত করা হয়নি। এরপর তিনি চাকরি রাজস্বখাতভুক্ত করার জন্য দীর্ঘ দিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যর্থ হন। তারপর গত ২৩ জানুয়ারি রাজস্বখাতভুক্ত করে তার চাকরি আত্তীকরণ চেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি বরাবর আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

এই আইনজীবী বলেন, এতেও কোনো সাড়া না পেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন মোকলেছার। আজ (রোববার) শুনানি শেষে আদালত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজিকে আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে নাগরিক সুরক্ষা, সমতা ও অধিকার পাওয়ার হকদার ছিলেন মোকলেছার। কিন্তু তার চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করে আত্তীকরণ করা হয়নি। এতে তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। চাকরি ক্ষেত্রে সমান অধিকারপ্রাপ্তিতে মোকলেছারকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩-এর উল্লেখ করে এই আইনজীবী বলেন, এই আইনের ধারা ২(২০) অনুযায়ী ‘বৈষম্য’ অর্থ প্রতিবন্ধীদের প্রতি সাধারণ ব্যক্তিদের তুলনায় অন্যায্য আচরণ এবং এক বা একাধিক কর্মকাণ্ড অন্যায্য আচরণের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই আইন অনুযায়ী মোকলেছারের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে রিট করেছেন তিনি। আশা করছি উচ্চ আদালত থেকে মো. মোকলেছার রহমান ন্যায় বিচার পেয়ে চাকরি ফিরে পাবেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর

আবেদন নিষ্পত্তি হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর