Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘুষ না দেওয়ায় রেণু পোনা পাচ্ছেন না নারী চিংড়ি চাষিরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৩

বাগেরহাট: মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও মেরিন ফিসারিজ অফিসার হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী চিংড়ি চাষিদের কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায় সরকারি বরাদ্দের টাকা তুলতে পারছেন না ক্লাস্টার নারী চিংড়ি চাষিরা। এতে মৌসুম শুরু হলেও ঘের প্রস্তুতসহ রেণু সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা।

এসব অভিযোগ তুলে বাগেরহাটের মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কাইনমারী বাগদা চাষি ক্লাস্টার-১ গ্রুপের নারী সদস্যরা। গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

বিজ্ঞাপন

বাগদা চিংড়ি চাষি ক্লাস্টার-১ গ্রুপের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “২০২৩ সালে সরকারিভাবে ২৫ জন নারী বাগদা চিংড়ি চাষের প্রশিক্ষণ নেয়। পরে উপজেলা মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে তারা সফলভাবে মৎস্য চাষও করে। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাছের পোনা নষ্ট হওয়ায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এসব নারী। এ অবস্থায় সরকারিভাবে মৎস্য চাষে তাদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের টাকা চাইতে গেলে মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিন এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষের টাকা এখন পর্যন্ত না দেওয়ায় নারী মৎস্য চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় মৌসুমের শুরুতে এখনও তারা ২৫টি চিংড়ি ঘেরে বাগদার রেণু পোনা ছাড়তে পারেনি।”

এছাড়া মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিনকে ২০২৩ সালে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ প্রকল্পের ১২ লাখ টাকা ছাড় করাতে প্রায় ৩ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলেও নারী চাষিরা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ দিয়েও লাভ হয়নি বলেও জানান তারা।

তবে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ অস্বীবার করেছেন মেরিন অফিসার হেলাল উদ্দিন। তার ভাষ্য, নারী চাষিরা মিথ্যা বলছেন, তিনি নির্দোষ।

সারাবাংলা/এমও

চিংড়ি চাষি বাগেরহাট রেণু পোনা সরকারি বরাদ্দ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর