কেরু চিনিকলের জমি ইজারা নিয়ে কালক্ষেপণ, লোকসান বাড়ার শঙ্কা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৪৬
চুয়াডাঙ্গা: দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের ৩১৩.৫০ একর জমি আখ চাষের জন্য ইজারা সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে প্রশাসনিক কালক্ষেপণে। চাষিরা অভিযোগ করে বলছেন, অহেতুক এই ‘ঢিলেমি’তে ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসানের সম্ভবনা রয়েছে।
দর্শনা চিনিকল কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি ইজারার সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। তবে খোদ চেয়ারম্যানই তা জানেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে জমি ইজারার সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়নও হয়নি।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল কার্যালয় থেকে জানা যায়, চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী মুড়ি আখ চাষের জন্য চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের ৩১৩.৫০ একর জমি ইজারা দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করেন।
সিডিউল ৫০০ টাকা দরে, মূল চিনিকলের উপব্যবস্থাপক (ক্যাশ), ঢাকা ৩, দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দরপত্রের আবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে।
দরপত্র সংগ্রহের পর ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় উপস্থিত দরদাতাদের সামনে দরপত্রের খাম খোলা হয়। এবার শতাধিক আগ্রহী ইজারা গ্রহীতা দরপত্র দাখিল করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, গত বছর একর প্রতি জমি ইজারার জন্য সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। কিন্তু এবার তা ৩০ থেকে ৪১ হাজার টাকায় ঠেকেছে। দরপত্র যাচাই করে ৩৩ জন দরদাতাকে একর প্রতি ৩২ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমি ইজারা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এরপর ৪৮ দিন পেরিয়ে সোমবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে দরদাতারা অভিযোগ করেছেন।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘এটার চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছি। ওখান থেকে নির্দেশনা এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম বলেন, ‘কেরু চিনিকলের জমি ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। টেন্ডার হওয়ার পর কি কারণে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে, তা আমি দেখবো।’
সারাবাংলা/এমও