‘মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে’
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫০
ঢাকা: মিয়ানমার সীমান্তের পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেই সঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীকে ধৈর্য ধারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার(৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে আনিসুল হক এ সব কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনমন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মায়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং গোলাগুলি হচ্ছে, সেটা এসে বাংলাদেশের মধ্যে পড়ছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নে, মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকার কী কী ব্যব্যবস্থা নিয়েছে?
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে সরকার ওয়াকিবহাল আছে এবং আজকে যে ঘটনা হয়েছে, আজকে ৭৮ জন মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশ তারাও চলে এসেছে বাংলাদেশে। তাদের মধ্যে কিছু কিছু আহতও আছেন, তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের একটি স্কুলে আপাতত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই আলোচনা করার জন্য এবং তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য, ফেরত পাঠানো যদি না যায় তাহলে অন্যান্য ব্যবস্থা কি করা যায় সেটা দেখা হবে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন সেটা হলো যে, আমাদের সশস্ত্রবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনী যেটা আছে বর্ডার ফোর্স তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডারে স্কুলগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল যেটা হয়েছিল মর্টার শেলিংয়ে আমাদের একজন মারা গেছেন, ওদেরও একজন মারা গেছে। পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনইউ