মানোত্তীর্ণ সাহিত্যসৃষ্টির প্রতিভা ছিল রওশন আলী চৌধুরীর
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৮
ঢাকা: মানোত্তীর্ণ সাহিত্যসৃষ্টির সমূহ প্রতিভা ছিল মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরীর। মাত্র ষাট বছরের জীবনে তার যে সাধনা ও কীর্তি, তা তাকে বাঙালির নবজাগরণের ইতিহাসে স্মরণীয়জনের আসন দিয়েছে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার অধিকারী।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর পঞ্চম দিনে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘সার্ধশত জন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনাসভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসুদ রহমান। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইসরাইল খান ও তপন বাগচী।
সভায় আলোচকরা বলেন, মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরীর বড়ো পরিচয় হলো সাময়িকপত্র সম্পাদনা। তৎকালীন শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নৈতিক মূল্যবোধ-সম্পন্ন রওশন আলী চৌধুরী সাহিত্যচর্চায় মানুষকে উৎসাহী করে তোলার জন্য আজীবন পরিশ্রম করেছেন। আমাদের সাহিত্যের অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল আলম বলেন, ‘মোহাম্মদ রওশন আলী চৌধুরী একাধারে একজন লেখক, সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং সম্পাদক ছিলেন। তিনি নিজে যেমন লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, তেমনি লেখক-সাহিত্যিকদের একত্রিত করেছেন, সংঘবদ্ধ করেছেন। তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবগত করার দায়িত্ব আমাদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।’
এদিকে, বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— বইমেলার পঞ্চমদিনে নতুন বই এসেছে ৭০টি। চতুর্থদিনে সংখ্যাটি ছিল ৬৬।
এ ছাড়া, আজ ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি নাসির আহমেদ, কবি ইসলাম রফিক, শিশুসাহিত্যিক চন্দনকৃষ্ণ পাল এবং লোকসাহিত্য গবেষক সৈয়দা আঁখি হক।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি রবীন্দ্র গোপ, সরকার মাসুদ এবং মাসুদ পথিক। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রেজিনা ওয়ালী, সাফিয়া খন্দকার রেখা এবং শামস্ মিঠু। দলগত আবৃত্তি পরিবেশন করেন ফয়জুল আলম পাপ্পুর পরিচালনায় আবৃত্তি সংগঠন ‘প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন’-এর শিল্পীবৃন্দ।
সারাবাংলা/আরআইআর/একে