ইউপিডিএফের ২ কর্মী খুন: সাজেকে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৪৯
রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালংয়ে দুই কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সাজেক ভ্যালি পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডেকেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। আগামীকাল বুধবার (৭ জানুয়ারি) এই অবরোধ সফলভাবে পালন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউপিডিএফের বাঘাইছড়ি ইউনিট এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে অবরোধ ঘোষণা করে। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজপাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে দুই কর্মী দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা নিহত হন।
ওই জোড়া খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিহত দুজনের মরদেহের কফিন নিয়ে মৈত্রী পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইউপিডিএফ। মিছিলটি মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- পাহাড়ে ফের উত্তেজনা, ২ মাসে ৮ খুন
সমাবেশ শুরুর আগে ইউপিডিএফ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পিসিপি, নারী সংঘ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী দুই মরদেহের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। পরে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ইউপিডিএফ সংগঠক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ সাজেক ইউনিটের প্রধান সংগঠক অডিট চাকমা, গণতান্ত্রক যুব ফোরামের সাজেক থানা শাখার সভাপতি নিউটন চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য উজ্জলা চাকমা।
ইউপিডিএফ নেতা অডিট চাকমা বলেন, আশিষ ও দীপায়ন চাকমা জুম্ম জাতির অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই-সংগ্রাম করে শহীদ হয়েছেন। জাতি তাদের কখনো ভুলতে পারবে না। জুম্ম জাতির কাছে তারা চির অমর হয়ে থাকবেন।
সমাবেশ থেকে অডিট চাকমা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বুধবার পর্যটন সড়কসহ সাজেক ইউনিয়নে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি সফল করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন- এবার বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফে’র দু’জনকে গুলি করে হত্যা
এর আগে রোববার দীপায়ন চাকমা ও আশীষ চাকমা নিহতের পর তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায় সাজেক থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার সন্ধ্যায় মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
জোড়া খুনের ঘটনায় প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে। তবে জেএসএস অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।
এর আগে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে দুই পৃথক ঘটনায় ইউপিডিএফের ছয় নেতাকর্মী ও রাঙ্গামাটিতে ৪ ফেব্রুয়ারির জোড়া খুনসহ দুই মাসের মধ্যে ইউপিডিএফের আট নেতাকর্মী খুন হলেন।
সারাবাংলা/টিআর