জনগণকে ক্যানসারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তামাক কোম্পানি
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১২
ঢাকা: সরকারের প্রচেষ্টায় জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যানসার ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা। এর পেছনে রয়েছে তামাক কোম্পানির কালো হাত। গবেষণায় স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সব প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার। ধোঁয়াবিহীন এবং ধোঁয়াযুক্ত উভয় তামাকজাত দ্রব্যই ক্যানসারের জন্য দায়ী। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার দেশে আইন ও সহায়ক নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত আইন লঙ্ঘন করে তামাক ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করছে। এ ছাড়াও কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণে নতুন পলিসি তৈরির ক্ষেত্রেও নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ফলে তামাকের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত হারে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় অনিয়ন্ত্রিত হারে ক্যানসারের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে তামাক সেবনের ভয়াবহতাকে গুরুত্ব দিয়ে করে বইমেলা প্রাঙ্গণে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সহযোগী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে একটি অবস্থান কর্মসূচি ও লিফলেট বিতরণ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ এর নেতৃত্বে ক্যাম্পেইনে দিশারী এর নির্বাহী পরিচালক শামীমা আক্তার, কান্দিভিটা সমউন্নয়ন মহিলা সমিতির (কসমস) নির্বাহী পরিচালক মেহনাজ পারভীন মালা, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (আইডিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক শফিউল আযম, ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম (স্বাস্থ্য অধিকার বিভাগ) সৈয়দা অনন্যা রহমান, এইড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবু নাসের অনিক, আইডিএফ এর প্রোগ্রাম অফিসার এনায়েত রাজীব, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির পার্টনারশিপ অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং ম্যানেজার আলী আজমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব, মানসের সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার মো. আবু রায়হান, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (টিসিআরসি) এর প্রকল্প কর্মকর্তা জুলহাস আহমেদ, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য, টিসিআরসি এর প্রকল্প কর্মকর্তা বিভূতী ভূষণ মাহাতো, বিএনটিটিপি এর প্রকল্প কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নেটওয়ার্ক কর্মকর্তা আজিম খান, বিএনটিটিপি এর গবেষণা সহযোগী ইশরাত জাহান ঐশী, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী লজিস্টিক কর্মকর্তা মো. শাওন মিয়াসহ তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরত অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় এবং তাদের আগ্রাসী প্রচার প্রচারণার কবল থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় আইনটি দ্রুত সংশোধিত হওয়া প্রয়োজন।’
অনতিবিলম্বে তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারের পাশাপাশি কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার লক্ষ্যে দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন করার আহ্বান জানান বক্তারা।
সব ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তালিকা থেকে তামাক কোম্পানির নাম বাদ দেওয়াসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটির সভা নিয়মিত এবং সিদ্ধান্তসমুহ ফলোআপ করা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোকে সরকারের মনিটরিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়ে দাবি জানানো হয়।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে