গাড়িতে চাঁদাবাজি, ৩০ জন গ্রেফতার
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ন (র্যাব)। এদিকে পরিবহন শ্রমিক নেতারা দাবি করছেন, র্যাব যাদেরকে গ্রেফতার করেছে তারা সবাই সংগঠনের ‘বৈধ অর্থ আদায়কারী’। সবাই পরিবহন শ্রমিক।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পাহাড়তলী, আকবর শাহ, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বালুরটাল ও একে খান মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার সারাবাংলাকে জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ র্যাবের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আসছিল।
পরে অভিযান চালিয়ে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ১৩, বালুরটাল এলাকা থেকে চার, পাহাড়তলী থানার হোটেল মেরিন সিটির সামনে মিনিবাস থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় চার, আকবর শাহ এবং এ কে খান মোড় থেকে তিন এবং বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদার ৪১ হাজার ৫৬৩ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় রিয়াদ ও বখতিয়ার উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি চলে। বালুর টাল এলাকায় নেতৃত্ব দেয় ইয়াবা রুবেল ও মিজান। পাহাড়তলীতে পেয়ার আহম্মেদের নেতৃত্বে এবং আকবরশাহ ও একে খান মোড়ে নারায়নের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি করা হয়।
এছাড়া বায়েজিদ থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় সোহেলের নেতৃত্বে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা তোলা হয়।
এদিকে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মুছা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র মতে সংগঠন থেকে নগরীতে চলাচলকারী রেজিস্টার্ডভুক্ত যানবাহন থেকে আমরা টাকা নেই। সব টাকা সংগঠনের তহবিলে যায়। আর যারা এসব টাকা উত্তোলন করে তারা সবাই সংগঠনের গঠনতন্ত্র মতে ‘লিগ্যাল কালেক্টর’। র্যাব যাদেরকে গ্রেফতার করেছে তারা সংগঠনের লিগ্যাল কালেক্টর। আগামীকাল (বুধবার) বিকেল তিনটায় এটা নিয়ে আমরা সভা ডেকেছি। সেখানে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
সারাবাংলা/আইসি/একে