সালিশের নামে প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধর-শ্লীলতাহানি
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪১
যশোর: যশোরের মণিরামপুরে সালিশের নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ওই গৃহবধূ মণিরামপুর থানায় অভিযোগ করেছেন।
মোবাইল ফোনে ফ্লেক্সিলোডের টাকা নিয়ে বিবাদের জের ধরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। পরে মুদি ও রাসায়নিক-কীটনাশক ব্যবসায়ী শাহাজান কবির ও তার ছেলে হৃদয় হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নির্যাতনের অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। শাহাজান কবির মণিরামপুর উপজেলার বড় চেৎলা গ্রামের খোকার ছেলে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া মণিরামপুরের ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ভিডিওতে দেখা যায়, বহু মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ওই নারীকে মারধর করা হচ্ছে। এ সময় তাকে তীব্র চিৎকার করতে এবং মারধর না করার কাকুতি-মিনতি করতে শোনা যায়।
স্থানীয়রা জানান, শাহাজান কবির উপজেলার বড় চেৎলা বাজারের মুদি দোকানি। তিনি একইসঙ্গে রাসায়নিক ও কীটনাশকসহ ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মোবাইল ফোনে ১৫০ টাকা ফ্লেক্সিলোড দিতে ছেলেকে শাহজানের দোকানে পাঠান ওই নারী। মোবাইলে টাকা না পেলে তিনি বিষয়টি শাহাজানকে দোকানে গিয়ে জানান। এ নিয়েই দুজনে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
স্থানীরা বলেন, এ ঘটনায় রাত ৮টায় সালিশি বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু এর আগেই সন্ধ্যার পর শাহাজান কবির ও তার ছেলে হৃদয় হোসেন, মুনসুর রহমান, নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তার ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে ওই নারীকে স্থানীয় বড় চেৎলা বাজারের লিটনের দোকানে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এ সময় তিনি শ্লীলতাহানির শিকার হন।
এ বিষয়ে জানতে শাহাজান কবিরের মোবাইল নম্বরে কল করলে রিসিভ করেন তার ছেলে হৃদয় হোসেন। তবে তিনি কথা বলেননি। পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, আমরা ওই নারীর অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/টিআর
গৃহবধূকে মারধর নারী নির্যাতন নারীকে শ্লীলতাহানি প্রবাসীর স্ত্রী সালিশের নামে মারধর