সপ্তম দিন তথা প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। মেলায় বেড়েছে পাঠক-দর্শনার্থীর সংখ্যা। বিভিন্ন স্টলের বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, বই বিক্রির পরিমাণও গত দিনগুলোর তুলনায় বেড়েছে। এদিকে মেলার সপ্তম এই দিনে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ নতুন বই এসেছে ৬৯টি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি অংশ ঘুরে দেখা যায়— সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় পাঠক-দর্শকের আনাগোনা বেড়েছে।
বইমেলার সপ্তম দিনে মেলায় কবিতা, গল্প ও উপন্যাসের বই এসেছে যথাক্রমে ছয়, ১০ ও ১৫টি। এ ছাড়া দুটি ছড়ার, পাঁচটি শিশু সাহিত্যসংক্রান্ত, তিনটি জীবনিগ্রন্থ এবং বিজ্ঞান, ভ্রমণ ও ইতিহাস সংক্রান্ত একটি করে নতুন বই এসেছে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বইমেলায় বাড়ছে পাঠক-ক্রেতার উপস্থিতি। ছবি: সারাবাংলা
বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, বইয়ের ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। তরুণ, বৃদ্ধ— প্রায় সব বয়সের পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে বিক্রির পরিমাণ।
অ্যাডর্ন প্রকাশনীর একজন বিক্রয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, বিক্রি অবশ্যই বেড়েছে। দর্শনার্থীও বেড়েছে। দুপুর থেকে বিকেল গড়ালেই দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বাতিঘর প্রকাশনীর একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, প্রথম দিকে আমরা একটু শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতেই বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে। আশা করি আরও বাড়বে।
এদিকে মেলার সপ্তম দিনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: গোবিন্দ চন্দ্র দেব’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার রায়। আলোচনায় অংশ নেন জায়দুল হোসেন ও সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব একজন স্মরণীয় বাঙালি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও গভীর দার্শনিক দৃষ্টি দিয়ে জীবন ও জগতকে প্রত্যক্ষণ করেছেন তিনি। তার জীবন, কর্ম ও দর্শন তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।