চট্টগ্রাম ব্যুরো : গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমি দুর্নীতি তেমন বুঝি না। আমি বুঝি, আইন ও বিধিবিধান মেনে কাজ করলে দুর্নীতি থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), গণপূর্ত অধিদফতর এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
এসব সংস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের প্রসঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে আলাদীনের কোনো প্রদীপ নেই। আমি দুর্নীতি-নীতি কোনোটাই তেমন বুঝি না। আমি বুঝি, আইন ও বিধিবিধান অনুসরণ করে কাজ করলে কোনো দুর্নীতি বাংলাদেশে থাকবে না। আইন ও বিধিবিধান মেনে যাতে কাজ হয়, সেটার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব, শিওর থাকেন। এ অবস্থায় মন্ত্রী সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা-আমরা ব্যক্তিজীবনে কি সবাই দুর্নীতিমুক্ত?’
সিন্ডিকেটের বাইরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ কেউ করতে পারে না! সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আমি বলেছি, আইনকানুন মেনে, বিধিবিধান মেনে কাজ করতে হবে। এখানে কে কাজ পেল আর কে পেল না, এটা আমার দেখার বিষয় না।’
কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা যাতে সবাই দেশপ্রেমের সঙ্গে, আইন ও বিধিবিধান মেনে কাজ করি, সেটা বলেছি। আরেকটা বিষয়, আমাদের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন যেন থাকে। সংসদ সদস্য, মেয়র, সংস্থার প্রধান, সবার সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনটা যাতে থাকে, যাতে সমন্বিতভাবে কাজ করা হয় সেটা বলেছি। এখানে কোনো সমস্যা কিংবা সমাধান নিয়ে কথা বলা হয়নি।’
চট্টগ্রাম মহানগরীতে সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ মন্ত্রী নিজেই নজরে রাখবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে আসেন মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সকালে পৌঁছে তিনি ‘এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ এবং কর্ণফুলী নদীর তীরে কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত আউটার রিং রোডের কাজ সরেজমিনে তদারক করেন। এরপর সার্কিট হাউজে সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।
এ সময় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।