‘বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯,৭২৭ মেগাওয়াট’
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০০
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘ক্যাপটিভ ও অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বর্তমানে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে গ্রিডভিত্তিক স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৫০৪ মেগাওয়াট। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক ১১ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট (৪৩%), ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ৬ হাজার ৪৯২ মেগাওয়াট (২৪%), ডিজেলভিত্তিক ৮২৬ মেগাওয়াট (৩%), কয়লাভিত্তিক ৪ হাজার ৪৯১ মেগাওয়াট (১৭%), হাইড্রো ২৩০ মেগাওয়াট (১%), অনগ্রিড সৌরবিদ্যুৎ ৪৫৯ (২%)। এছাড়া বিদ্যুৎ আমদানি করা হয় ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট (১০%)।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ২০২৩ সালের ১৯ এপ্রিল বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার বিপরীতে সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা কম থাকে। এ বছর শীতকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১০ হাজার মেগাওয়াটে নেমে আসে।’ আগামী গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নসরুল হামিদ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম