Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫১

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার উদগ্র বাসনা চরিতার্থ করতে গত ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলহীন নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম-খুন, গায়েবি মামলা, হুলিয়া, গ্রেফতার-হয়রানি, নিপীড়ন-নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল, তা এখনো অব্যাহত রেখেছে সরকার। অরাজকতা, নৈরাজ্য আর বিশৃঙ্খলার বৃত্তে জনমানুষকে বন্দি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণকে প্রতারিত করে, রাষ্ট্রীয় পেশীশক্তির জোরে ৭ জানুয়ারি ভোটারহীন পাতানো ভুয়া নির্বাচনে ষোলকলা পূর্ণ করলেও থেমে নেই বিরোধী দলমতের ওপর বহুমাত্রিক জুলুম, উৎপীড়নের অমানবিক নিষ্ঠুরতা। দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। দেশের কারাগারগুলো ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীতে ঠাসা।’

রিজভী বলেন ‘কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে কারাগারেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। তারা প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের কারও না কারও মৃত্যুর সংবাদ আসছে প্রায়শ।’

রিজভী বলেন, ‘গত তিন মাসে কারাগারে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার বিনা অপরাধে রংপুর কারাগারে বন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান, ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়।’

‘সেই দিন আদালতে চালান না দিয়ে পরদিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি,’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘দেশের আইন-আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, কোর্ট-কাচারি, বিচার-আচার— সবকিছুই সরকার করতলে বন্দি করে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাদের জামিনের সাংবিধানিক ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আদালতে জামিনের জন্য বারবার আবেদন করলেও নানা টালবাহানা করা হচ্ছে। নিপীড়নের সকল মাত্রা প্রয়োগ করা হচ্ছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

টপ নিউজ রুহুল কবির রিজভী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভূতের গলির বাসায় মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:০০

সম্পর্কিত খবর