পাকিস্তানে ৭৪টি আসন নিয়ে এগিয়ে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৬
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের এ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)। তবে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদে ৭৪টি আসনে জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা। এখন পর্যন্ত ১৭৬টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে নওয়াজ শরীফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন)। দলটি ৪৯টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৩৯টি আসন। এছাড়া এমকিউএম (পি) ৪, আইপিপি ২ এবং জেইউআই (এফ), বিএনপি পেয়েছে একটি করে আসন। অন্য স্বতন্ত্ররা জিতেছেন ৬টি আসনে।
তবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও তার দল পিএমএল-এন’কে একক সর্ববৃহৎ দল বলে দাবি করেছেন সবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। ইমরান খানের পিটিআই-এর প্রার্থীরা এ পর্যন্ত এগিয়ে থাকলেও তারা এখনও স্বতন্ত্র। তাই নওয়াজ শরীফ নিজেদের বিজয়ী দাবি করে বিজয়ী ভাষণ দিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার দল।
নিয়ম অনুযায়ী স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ীরা সরকারি ফলাফল ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। এই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাধারণত পার্লামেন্ট সদস্য নিয়ে টানাটানি চলে। হর্স ট্রেডিং হিসেবে পরিচিত দলে ভেড়ানোর এই টানাটানির সময়ে পিটিআই সমর্থিত বিজয়ীরা কী করবেন তা এখন দেখার বিষয়।
অবশ্য নওয়াজ শরীফের দল থেকে জানানো হয়েছে, স্বতন্ত্র হিসেবে বিজয়ী বেশ কয়েকজন পিটিআই সদস্য পিএমএল-এন এ যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন।
৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।
এবারের নির্বাচনে কোনো দলই হয়ত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা ম্যাজিক ফিগার ১৬৯ লাভ করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে জোট সরকার গড়তে হতে পারে।
সারাবাংলা/আইই