৪২ ঘণ্টায়ও আসেনি পূর্ণাঙ্গ ফল, ঝুলন্ত সংসদের পথে পাকিস্তান
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৩
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার ৪২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন। ২৬৬ আসনের মধ্যে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে এখন পর্যন্ত কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করার মতো জয় পায়নি। তবে কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। খবর দ্য ডন।
শনিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯১টি আসন। নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলীম লীগ (পিএমএলএন) ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে। বিলওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন। জেইউআই পেয়েছে ২টি আসন। এছাড়া বাকি দলগুলো ১০টি আসন পেয়েছে।
এদিকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এবং ইমরান খান উভয়েই নিজেদের জয়ের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচনের ফলাফল দেখা ধারণা করা হচ্ছে পাকিস্তান সম্ভবত একটি ঝুলন্ত পালামের্ন্টের দিকে যাচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, কোনো দল এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলার মধ্যেই পাকিস্তানে ভোট, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
শরীফ বলেছেন, তিনি জোট সরকার গঠনের জন্য অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ তার দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারাবন্দি থাকায় ইমরান খান জেল থেকে ভোট দিয়েছিলেন। একটি ‘বিজয় বক্তৃতায়’ তিনি বলেছিলেন, তার দল সমর্থিত ২৬৪ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১৭০ জনের বেশি জয়ী হতে চলেছেন। তবে সরকার গঠনের জন্য ১৩৩টি আসনে পেতে হবে।
৩৩৬ আসনের দেশটির জাতীয় পরিষদে সরকার গঠন করতে ১৬৯টি আসনের প্রয়োজন। এমন একটি সরকার গঠনে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে ভোটাররা সরাসরি ২৬৬ জন সদস্যকে নির্বাচিত করতে পারেন। আর বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। নির্বাচনে প্রতিটি দলের জয়ী সদস্যদের সংখ্যার অনুপাতে এই সংরক্ষিত আসনগুলো বরাদ্দ করা হয়।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় বিকলে ৫টায়। ক্রমবর্ধমান জঙ্গি হামলা, অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাকিস্তানে।
সারাবাংলা/এনএস