‘আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয় সজাগ থাকতে হবে’
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র-দলীয় করতে গিয়ে অনেকেরই মন কষাকষি, নানা কিছু হয়েছে। যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে— সেটা এখন ভুলে যেতে হবে। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের উপর আস্থা বিশ্বাস রাখতে হবে। আর যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয় সেটার সমাধানের জন্য আমরা আছি। নিজেদের মধ্যে কোনো রকম আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।’
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টান চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সূচনা বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এর ওপর, ওর-উপর দোষ— এই দোষারোপ করার কোনো অর্থ হয় না। এবার নৌকার জোয়ার ছিল। সবচেয়ে বেশি নারীরা ভোট দিতে এসেছিল। কাজেই জোয়ারের বিরুদ্ধে কেউ যদি দাঁড়াতে না পারে সেটা কার দোষ? সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একে-ওকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।’
তিনি বলেন, ‘এবার যদি নির্বাচন উন্মুক্ত না করা হতো। তাহলে এই নির্বাচনকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করা না, বাংলাদেশ গণতন্ত্রকে হরণ করা হতো। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আজকে যেখানে এগিয়ে গেছি। জাতির পিতা স্বল্পোন্নত বাংলাদেশ রেখে গিয়েছিলেন, আমরা এই দীর্ঘ ১৫ বছর কাজ করে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের সেই অর্জন নস্যাৎ হয়ে যেত।’
তাই এই অর্জন ধরে রেখে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ করার জন্য দলের নির্বাচনি ইশতেহারের অঙ্গীকার পূরণে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
বিশেষ বর্ধিত সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দলের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
এই বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপিসহ তাদের সমমনা শরিকদের নির্বাচন বয়কটে এবারের জাতীয় নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হন ৬২ জন। যারা আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয়লাভ করে। আর দুটি করে আসনে আওয়ামী লীগের জোট শরিক জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি জয়লাভ করে এবং কল্যাণ পার্টি জয় পায় একটি আসনে। তবে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস