Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পিপীলিকার সংসার’ এর মোড়ক উন্মোচন

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৫১

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুফা) বন্ধুদের বই ‘পিপীলিকার সংসার’ গল্পসমগ্রের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার বাংলা একাডেমি অংশের ৮৪৪ নম্বর স্টল ‘পিপীলিকা’র সামনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।

প্রকাশিত ‘পিপীলিকার সংসার’ বইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের রেজিস্টার্ড বন্ধু সংগঠন— ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুফা) ২২ জন সদস্যের লেখা স্থান পেয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে সম্পাদনা কিংবা লেখা—সবকিছুই করেছে ব্যাচটির বন্ধুরা।

বইটির সম্পাদনা পরিষদে ছিলেন ব্যাচটির ৮ জন সদস্য। তারা হলেন— মুহাম্মদ মাহবুব কায়সার, মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন, মোহাম্মদ আশরাফ-উল-আলম, মাজকুরা নাজনীন উর্মি, এ.কে.এম. বদরুল হক অনু, সৈয়দা মাহমুদা ইফ্ফাত স্বর্ণা, ফেরদৌসী রেজা চৌধুরী ও মোহাম্মদ আবু সালেহ।

প্রকাশিত ২২টি লেখার মধ্যে মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন লিখেছেন ‘পিপীলিকার সংসার’, অরুণ কুমার বিশ্বাস লিখেছেন ‘সুখের অসুখ’, রুমানা সোবহান পরাগ লিখেছেন ‘অখণ্ড অবসর’, বদরুল হক অনু লিখেছেন ‘শেষ চিঠি’, যোবায়েদ আহসান লিখেছেন ‘আকবর আলীর গোপন বিদ্যা’ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস ‘ঝাড়পৌঁছ’ মামুন আজাদ লিখেছেন ‘ছায়ার পেছনে’, সালেহ আকরাম লিখেছেন ‘আলতা মাঝি’, ফারহানা জেসমিন লিখেছেন ‘ফুলগুলি তোমার, ভুলগুলো আমার’, মুস্তাক আহমেদ লিখেছেন ‘নন্দিনী’, রাকিব হাসনাত সুমন লিখেছেন ‘সিনাপুর ডাক’, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান লিখেছেন ‘ভার্চুয়াল ফান ফ্যাক্টরি,’ আবদুল কাদের পলাশ লিখেছেন ‘অন্য রকম মা’, খোন্দকার শাহ্ আলম লিখেছেন ‘বাগান বিলাস’, ফারাহ জেহির লিখেছেন ‘সম্পর্কের খোলা চিঠি’, মাহবুব কায়সার লিখেছেন ‘শেষ বিকেলের আলো’, শ্যামলী বেগম লিখেছেন ‘অসমাপ্ত গল্প’, মাজকুরা নাজনীন উর্মি লিখেছেন ‘নীলু ও বাবা’, হুমায়রা আক্তার লিখেছেন ‘হারানোর কষ্ট’, নাসিমা আক্তার বেবী লিখেছেন ‘আসলেই কাছে কেউ থাকে না’, আরিফুর রহমান লিখেছেন ‘প্রজাপতি’ এবং রফিক উল্লাহ রোমেল লিখেছেন ‘আমুপিলিকিলি’।

বিজ্ঞাপন

মোড়ক উন্মোচনকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘সব লেখালেখির নিয়ম রয়েছে। আগে নিয়মটা জানতে হবে। কবিতা ও গদ্য লেখা সম্পর্কে জানতে হবে। ছন্দ সম্পর্কে জানতে হবে। না শিখে লিখলে সেটি হয়তো লেখা হবে, কিন্তু কবি হতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, “গল্প যদি লিখতে হয়, তা হলে গল্পটা বানাতে হবে। আর গদ্য লিখতে হলে যুক্তি দাঁড় করাতে হবে। ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’। তাই আমাদের শিখে যেতে হবে।”

ডুফার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গাজী শেখ ফরিদ বলেন, ‘ডুফা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কাজ করে আসছে। ২০১৯ সালে আমাদের একটি কবিতার বই বের হয়েছিল। এরপর থেকে আমরা সাহিত্য নিয়ে কাজ করার প্রতি ফোকাসড হই। তারই অংশ হিসেবে আমরা ‘পিপীলিকা’ নামের একটি ফেইসবুক প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি শুরু করি। বিভিন্নপর্যায়ে আমাদের কলেবর বাড়তে থাকে। এরপর আমাদের মাথায় চিন্তা আসে কীভাবে অনলাইন থেকে বিষয়টিকে অফলাইনে আনা যায়। সেখান থেকেই মূলত আজকের সবকিছু।’

সারাবাংলা/আরআইআর/একে

গল্পগ্রন্থ ডুফা পিপীলিকার সংসার বইমেলা ২০২৪

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর