পরীক্ষার্থী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, হলে অন্যজন!
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৯
চুয়াডাঙ্গা: জেলার আলমডাঙ্গায় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পক্ষে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সালমা খাতুন নামে একজন শিক্ষার্থী। এই অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। সেইসঙ্গে ২০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করে শাস্তি দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সালমা খাতুন (২৪) উপজেলার রাধিকাগঞ্জ গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে। তবে দাবি উঠেছে, প্রকৃত পরীক্ষার্থী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকেও শাস্তি দিতে হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস’র ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নেন আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। কিন্তু তার পরিবর্তে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন সালমা খাতুন। বিষয়টি টের পেয়ে সালমা খাতুনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।
খবর পেয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল এবং ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, ‘তাৎক্ষণিক অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবু পাড়ার মৃত কাজী কামালের মেয়ে কাজী মারজাহান নিতু। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন।
সারাবাংলা/পিটিএম