অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বর্তমানে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল, তুলা, সার, লোহা ও স্টিল নিউক্লিয়ার রিয়েকটর, বয়লার্স, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, ভোজ্য তেল, তেল বীজ, প্লাস্টিক পণ্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রেলওয়ে ইঞ্জিন, নিটওয়্যার, লবণ, বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক দ্রব্য, গবাদিপশুর খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানি করা হয়ে থাকে। যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আমদানি রোধ নয় বরং দেশের স্বার্থে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে The Imports & Exports (Control) Act, 1950 আছে, যা যুগোপযোগী করতে আমদানি ও রফতানি আইন নতুনভাবে করা হচ্ছে। এই আইনের অধীনেই আমদানি নীতি আদেশ হয়েছে।’

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী কিছু কিছু পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং কিছু পণ্য শর্তসাপেক্ষে আমদানির বিধান রাখা হয়েছে। তবে দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে কিছু সংরক্ষণমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

এছাড়া, অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী