মামলা হলে সরকারি অফিসাররা কীভাবে পার পায়— প্রশ্ন চুন্নুর
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:২৫
ঢাকা: মামলা হলেও সরকারি কর্মকর্তারা পার পেয়ে যান বলে জাতীয় সংসদে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, কোনো মামলা হলে আমরা রজনীতিবিদরা পার পাই না। অথচ ১০ কোটি টাকার অনিয়ম করার পরও একজন সরকারি অফিসারকে বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমালা চরম লঙ্ঘন হয় কী করে?
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে মুজিবুল হক চুন্নু এমন প্রশ্ন রাখেন।
পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের ভবন নির্মাণের কাজ পান জি কে শামীম। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের আইটির কাজও আরেকজনের সঙ্গে পান জি কে শামীম। তাকে গ্রেফতারের পর অনেক সমালোচনা হয়, তদন্ত হয়। একজন অতিরিক্ত সচিব তদন্ত করে বলেছেন, জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়েছে। তার যা বিল, তার চেয়েও ১০ কোটি টাকা বেশি দেওয়া হয়েছে। কেন এই টাকা দেওয়া হয়েছে— কোনো জবাব নেই। পরে আবার তদন্তে পাওয়া গেল, দুটি কাজেইর একটিও সঠিকভাবে করা হয়নি।
চুন্নু বলেন, ঠিকাদার হিসেবে জি কে শামীম যে শর্ত লঙ্ঘন করেছেন, তাতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে তাকে যে অগ্রিম ১০ কোটি টাকা দেওয়অ হয়েছে, সেটি আবার অন্য উপায়ে সমন্বয় করা হয়েছে। এটি আইনের লঙ্ঘন। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে সেফ করার জন্য সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে সেই ১০ কোটি টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
চুন্নু বলেন, আমরা রজনীতিবিদ যেকোনো বিষয়ে একটা মামলা হলে পার পাই না। আর এখানে একজন সরকারি অফিসার ১০ কোটি টাকা অগ্রিম দিলো আর তাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের পাবলিক প্রকিউমেন্ট, রুলস, সরকারি ক্রয় বিধিমালার চরম লঙ্ঘন করে তাকে বাঁচানো হলো। পূর্তমন্ত্রী এরই মধ্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আমি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই— একজন সচিব কী করে এত বড় একটি বিষয় উপেক্ষা করতে পারেন? মন্ত্রীর কোনো অনুমোদন বা অনুমতি ছাড়াই তিনি এই কাজ করেছেন।
চুন্নু আরও বলেন, সবচেয়ে হালকা যে শাস্তি, অর্থাৎ তার বেতনের একটা গ্রেড নিচে এনেছেন। অথচ একই কাজের জন্য আরেক ঘটনায় একজন তত্ত্বাবধায়ককে ডিমোশন দেওয়া হয়েছিল। এটা কেন? এই সরকারের আমলে কীভাবে এত বড় একটা অন্যায় কাজ করে পার পেয়ে যাবে আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব— এটা কি হয়? মন্ত্রীকে বলব, বিড়াল প্রথমেই মারেন। এখনই অ্যাকশন নেন। আশা করি সেই ব্যবস্থা নেবেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর