সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে: প্রতিমন্ত্রী
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪৮
ঢাকা: টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ঘর ২০২১ সালের মধ্যে আমরা আলোকিত করেছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, কুতুবদিয়ার চরাঞ্চল থেকে শুরু করে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। সোলারে হোক বা গ্রিড কানেক্টিভিটিতে হোক সেই জায়গায় আমরা পৌঁছে গেছি। বিদ্যুতের সঙ্গে আরেকটি বড় উদাহরণ দিতে চাই। বাংলাদেশ বিশ্বে বিশেষ কেরে সোলার হোম সিস্টেমে এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন লাভ করেছি। প্রায় ৫০-৫২ লাখ ঘরে আমাদের সোলার বাতি কাজ করছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এফোর্টিবিলিটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে আমরা বিদ্যুৎকে এফোর্টিবল করতে পারে, কীভাবে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে পারি, কিভাবে বিদ্যুৎকে আমরা রিলায়েবল রাখতে পারি— এই তিনটি জিনিসকে মাথায় রেখে আমরা আবার একটি রিভিউ মাস্টারপ্ল্যান করেছি। যেখানে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে ধীরে ধীরে। বিদ্যুৎকে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য মহাপরিকল্পনা নিয়েছি গ্যাস ক্ষেত্রে। গ্যাসের অনুসন্ধান বাড়ানোর জন্য আমরা এরইমধ্যে ৪৬টি কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছি। এরইমধ্যে পাঁচটি গ্যাসফিল্ড বিশেষ করে ভোলায়, শাহাজাদপুর, ইলিশায় নতুনভাবে গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। সেখানকার গ্যাস কিভাবে আমরা বরিশাল পর্যন্ত নিয়ে পটুয়াখালীসহ যশোরে সংযোগ দেব। যশোরের সঙ্গে কীভাবে আমরা রংপুরের গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে সংযোগ করব তারও ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘ঢাকার থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুর অংশে গ্যাস লাইন নিয়ে বরিশালের সঙ্গে সংযোগ করব। অর্থাৎ মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বৃহত্তর ফরিদপুরে যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে যেন আমরা গ্যাসের সংযোগ দিতে পারি তারও আমরা ব্যবস্থা করছি। নতুন করে প্রায় ৪২ ইঞ্চি দুইটি পাইপ লাইন চিটাগাং থেকে তৈরি হচ্ছে যেন ঢাকার যে গ্যাসের অভাব রয়েছে তা যেন আমরা সম্পন্ন করতে পারি।’
সারাবাংলা/একে