চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উচ্ছেদ অভিযানে হকারদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দফতরের পেশকার আবু জাফর চৌধুরী।
অভিযুক্ত সাতজন হলেন- চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতির সভাপতি নুরুল আলম লেদু (৫৯), সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম (৫০), মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতির সভাপতি মিরন হোসেন (৫২), সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম (৪৫), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ভূঁইয়া (৪৭) সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শাহীন আহমদ (৪৬) ও সদস্য নূর মোহাম্মদ (৪৫)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হক সারাবাংলাকে জানান, গতকাল (সোমবার) চসিকের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ১ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ৮ ডিসেম্বর নগরীর নিউমার্কেট মোড় থেকে নতুন রেলস্টেশন, রিয়াজউদ্দিন বাজার, পুরাতন রেলস্টেশন, ফলমণ্ডি, তামাকমুণ্ডি লেইন ও আমতলসহ প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে হাজারেরও বেশি হকার উচ্ছেদ করে সিটি করপোরেশন।
এসব এলাকার ফুটপাত থেকে সড়কের একাংশ দখলে নিয়ে এসব হকার পোশাক, মোবাইল, জুতা, তৈরি খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছিল। ফুটপাত ও সড়কে বিভিন্ন অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের কারণে এসব এলাকায় নিয়মিত যানজট লেগে থাকতো।
প্রথম দফায় সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের সময়ও হকাররা বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ নিয়ে হকাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। পরদিন হকারদের কেউ কেউ আবারও বসতে চাইলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা গিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
সোমবার আবারও হকাররা বসতে চাইলে পুনর্দখল ঠেকাতে দুপুর আড়াইটায় চসিক মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। চসিকের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা, শাহরিন ফেরদৌসী ও আরাফাত রহমান সানিসহ শতাধিক পুলিশ এবং চসিকের কর্মী অভিযানে অংশ নেন।
এসময় হকারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।