ইবিতে গণরুমে ফের র্যাগিং: হল কর্তৃপক্ষের তদন্ত কমিটি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০০
ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে বিবস্ত্র করে র্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন। কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিটিতে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. আলতাফ হোসেনকে আহ্বায়ক ও হলের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যরা হলেন, আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম ও ড. হেলাল উদ্দিন।
আফিস আদেশে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি লালন শাহ হলের ১৩৬নং কক্ষে সংগঠিত র্যাগিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রুমে অবস্থানরত ভুক্তভোগী আল-ফিকহ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং মুদ্দাসির হোসেন কাফি, শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগ ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ মধ্যে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ের প্রেক্ষিতে হল অফিসে মৌখিক বা লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি গত ১০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টরের মাধ্যমে অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত রুমে তদন্ত করা হয়। সে সময় রুমে কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি যথযথ তথ্য উদ্ঘাটন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ইবিতে ফের শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আশা করি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সব উঠে আসবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তাও একান্ত প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে রাতভর র্যাগিং, নগ্ন করে রড দিয়ে মারধর, পর্নগ্রাফি দেখানো ও টেবিলের উপর কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাতে লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) রাত ১২টা থেকে ভোর পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পরে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিষয়টি ঘরোয়াভাবে সমাধান করায় এবং ‘বিশেষ চাপে’ প্রশাসনের কাছে কোন অভিযোগ করেননি ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী। শুধু সেই দিনই নয়। একই কক্ষে প্রায়শই র্যাগিং হয় বলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/এমও