Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফখরুল-খসরুর জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:০১

ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। ফলে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই দুই নেতার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবীরা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আসাদুজ্জামান ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। সরকার পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল্লাহ আবু।

পরে আদেশের তথ্য সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তিনি বলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় (বেল বন্ড) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।’

এই আইনজীবী বলেন, ‘১১টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। এর আগে তিনি ১০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আজ (বুধবার) অবশিষ্ট একটি মামলাতেও তিনি জামিন পেলেন। ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মামলা তথ্য জানিয়ে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০টি মামলার মধ্যে ৯টিতে আগেই জামিন পেয়েছিলেন তিনি। আজ (বুধবার) শেষ মামলাটিতেও জামিন পাওয়ায় তারও মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।’

এর আগে এ মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এ সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এ ঘটনার পর গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত বছরের ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরে মির্জা ফখরুলকে মোট ১১টি ও আমীর খসরুকে মোট ১০টি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিন টপ নিউজ বাধা নেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর