ফাল্গুনের প্রথম দিন এসেছে নতুন ৯১ বই
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০২
ঢাকা: আজ পহেলা ফাল্গুন। আজ ছিল অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর ১৪তম দিন। নব বসন্তের এই দিনে নতুন বই এসেছে ৯১টি। এর মধ্যে ১১টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি উপন্যাস, তিনটি প্রবন্ধ, ৩৫টি কাব্যগ্রন্থ, চারটি ছড়ার বই, পাঁচটি জীবনীসংক্রান্ত বই, দু’টি অনুবাদগ্রন্থ, এবং একটি করে ভ্রমণ, ইতিহাস, রাজনীতি ও অভিধান গ্রন্থ।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাফাত আলম মিশু।
প্রাবন্ধিক রাফাত আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ছিল জনমানুষের সামূহিক আন্দোলন-সংগ্রামের পরম্পরাগত বহুমাত্রিক ঘটনাপুঞ্জের একটি দৃশ্যমান রূপ। আর এই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যারা ব্যক্তি থেকে সময়ের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন, ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য। ৮০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি ছিলেন একাধারে মেধাবী ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী, লেখক, গীতিকার, সুবক্তা ও আইনজীবী। তবে সব কিছু ছাপিয়ে তার বড় পরিচয় তিনি একজন ভাষাসংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধা। গাজীউল হক নিজে লেখক ছিলেন। তাই গাজীউল হকের জীবনপাঠের ক্ষেত্রে তার রচনাগুলো গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।’
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘ভাষাসংগ্রামী গাজীউল হক আমৃত্যু তার দুঃসাহসী ও দৃঢ় মানসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বাংলাদেশের সংগ্রামী ইতিহাসে তার কর্ম ও আদর্শ চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।’
এদিকে বইমেলার চতুর্দশতম দিনে ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, কবি শাহেদ কায়েস, লেখক ও সংগীতজ্ঞ তানভীর তারেক এবং কথাসাহিত্যিক মাজহার সরকার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন করি মারুফুল ইসলাম, মাসুদুজ্জামান, ইসমত শিল্পী এবং সাহেদ মন্তাজ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, মাসুদুজ্জামান এবং চৈতালী হালদার। পুঁথিপাঠ করেন মো. শহীদ এবং মো. কুদ্দুস মিয়া। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, মামুনুল হক সিদ্দিক, মুর্শিদুদ্দীন আহম্মদ, মো. রেজওয়ানুল হক, কাজী মুয়ীদ শাহরিয়ার সিরাজ জয়, আঞ্জুমান আরা শিমুল, চম্পা বণিক, শরণ বড়ুয়া এবং অনন্যা আচার্য। যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন বিশ্বজিৎ সরকার (তবলা), সুমন রেজা খান (কি-বোর্ড), মো. আকবর হোসেন (লিড গিটার), আনোয়ারুল হক (বেস গিটার) এবং মনির হোসেন (অক্টোপ্যাড)।
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম