সানজিদাকে হত্যা করে ধানক্ষেতে পুঁতে রেখেছিলেন সৎ বাবা
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১১
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ শিশু সানজিদা খাতুনের (৯) মরদেহ ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারই সৎ বাবা তাকে হত্যার পর মরদেহ ধানক্ষেতে পুঁতে রেখেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই সৎ বাবা ও তার সহযোগী শিশুটির এক প্রতিবেশীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সলঙ্গা থানার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে শিশু সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সানজিদা আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। তার সৎ বাবা শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে। সানজিদাকে হত্যায় তার সহযোগী হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে দেড় মাস আগে জরিনা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল অনেক চেষ্টা করলেও তিনি আর ফিরে যাননি শ্বশুরবাড়ি। এ অবস্থায় জরিনার প্রতিবেশী হাসমতের সঙ্গে কথা হলে শরিফুলকে পরামর্শ দিয়ে হাসমত বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই জরিনাকে ফেরত পাবেন শরিফুল।
ওসি বলেন, হাসমতের পরামর্শ অনুযায়ী সানজিদাকে অপহরণের পরিকল্পনা হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সানজিদা মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিতে চান হাসমত ও শরিফুল। সানজিদা চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়। একপর্যায়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করে কবরস্থানের জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যান তারা। পরে ওই রাতেই সানজিদার মরদেহ পাশের একটি ধানক্ষেতে পুঁতে রাখেন।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সানজিদাকে না পেয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি তার নানা জহুরুল ইসলাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওসি বলেন, জিডি হওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন তারা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, উদ্ধার করা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সারাবাংলা/টিআর