‘আগামী মেলায় হস্তপণ্য শিল্পকে গুরুত্ব দেবো’
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৩২তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় হস্তপণ্য শিল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ৩১তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বাণিজ্যের রাজধানী চট্টগ্রামে আসা আমার জন্য জরুরি ছিল। এক মাস আগে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। আজ একমাস একদিন। সকালে টিসিবির কার্যক্রম শুরু করেছি। অফিস পরিদর্শন করেছি। এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেছেন, দ্রব্যমূল্যে যাতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি বাণিজ্যের একটি প্রসিদ্ধ স্থান খাতুনগঞ্জ। সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করেছি, যাতে আমাদের আমদানি বাণিজ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সহজলভ্যতা নিশ্চিত হয়। ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন এবার রমজানে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের কাছে মজুত আছে।’
আগামী পাঁচ বছরে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি বাজার ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারি তাহলে এই রমজানে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট থাকবে না। আমি সরকারের পক্ষ থেকে এ জিনিসটি আশ্বস্থ করতে চাই যে, আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।’
তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে পরিকল্পনা নিয়েছেন সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারই একটি অংশ আমাদের এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে অনেক নারী উদ্যেক্তা আছেন। তাদের নিয়ে আগামী মেলায় আমাদের হস্তপণ্য শিল্পকে গুরুত্ব দেব। বিশেষ করে আগামী এক বছর আমরা ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ এ স্লোগানে প্রতিটি গ্রাম থেকে ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও খাদ্যকে তুলে এনে উপজেলা, জেলা ও আন্তর্জাতিকভাবে বিপণনের ব্যবস্থা করব।’
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যদের টিসিবির সুবিধাভোগীদের তালিকা যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন ডিলার নিয়োগ দেবেন যাতে সুবিধাভোগীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে, ট্রাকে লাইন ধরে ও মাঠে গিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে না হয়। একটি নির্দিষ্ট স্থানে বা দোকানে তারা যেন তাদের সময়মতো এসে টিসিবির পণ্য নিতে পারে।’
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘এ মেলা সব ব্যবসায়ীর পণ্য পরিচয়, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনে সহায়ক হবে। আমরা বলি না দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে, আমরা চাই দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা। প্রান্তিক পর্যায়ের যে মানুষ তাদের খাদ্যনিরাপত্তা সেটা নিশ্চিত থাকবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামনে রমজান মাস। রমজান আসলে সংযমের মাস। এই মাসে আমরা যাতে সংযম করতে পারি সেটা খেয়াল রাখা উচিত। কারণ, প্রায়ই দেখা যায় রমজানে আমাদের ভোগ অনেক বেড়ে যায়। সেসময় বাজারে কিছু অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। এবার সেগুলো নিরসন করবেন আমাদের নেতারা।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার রাজীব রঞ্জন ও চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম